পাতা:সবুজ পত্র (বর্ষ ২) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

volo8 সবুজ পত্ৰ ऊध ७ त्रांत्रिंन, s७२२ মনোরাজ্যে প্ৰবেশ করিতেছেন; বালকটি হাস্যোঙ্গল মুখে চারিদিকে চাহিতে চাহিতে বৃদ্ধের হাত ধরিয়া চলিয়াছে, কিন্তু তাহার ন্যায় গুরুগম্ভীরভাবে চলা কি তাহার পোষায় ? সে কখনো লাফায়, কখনো প্ৰজাপতির পিছনে ছোটে, কখনো পথপার্শ্বের ফুল কুড়ায়, কখনাে অকারণ-আনন্দে দৌড়িয়া অগ্রসর হয়, আবার দৌড়িয়া পিছাইয়া আসিয়া ভঁাহার হাত ধরে, তঁহাকে অসংখ্য অসম্ভব প্রশ্নে বিত্ৰত করিয়া তোলে, এবং উত্তরের অপেক্ষা না রাখিয়াই আপনার কথা সাত-কাহন করিয়া বকিয়া যায়। অথচ দুইজনেরই পরস্পরকে নহিলে চলে না। এই জুড়িই জীবনশাকটের বাহন, তাই আমাদের এমন অপূর্ব তরঙ্গায়িত গতি! চিন্তাশীল ভাবুক লোক যতক্ষণ কথায় বা লেখায় তঁহার বিচারের ফল প্ৰকাশ করিবার চেষ্টা করিতেছেন, এদিকে ততক্ষণ তঁহার নিজেরই সংসারের কাজ সেই মতামতের পরিণতির অপেক্ষায় বন্ধ থাকিতে পারে না,-যেন তেন প্রকারে তাঁহাকে চলিতে এবং চালাইতে হইবেই। সেই জন্য আমাদের কথায় ও কাজে এত গরমিল, আমাদের জীবনে ও মনে এত অসঙ্গতি পদে পদে দৃষ্ট হয়। কৰ্ম্ম প্ৰথমে কেঁকের মাথায় হয় ত বিপথে চলিতে থাকে, তারপর চিন্তা যখন তাহার নাগাল পায় তখন তাহাকে সৎ পরামর্শ দিয়া গতিবেগ মন্দ করাইয়া কিছুদূর ফিরাইয়া আনে,-আবার সে এগাইয়া যায়, আবার চিন্তার আকর্ষণে পিছু হটে। সেই জন্য জীবনের গতিরেখা সরল নহে,-ঐ প্রকার কুটিল, অর্থাৎ অগ্রপশ্চাৎ করিতে করিতে। তবে সে অগ্রসর হয়,- যেমন সেই বালক পিছাইয়া আসিয়া আবার বুদ্ধের সঙ্গ ধরে।