পাতা:সভ্যতার পাণ্ডা.pdf/১৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সভ্যতার পাণ্ডা
১১

(নীলাকান্তের প্রবেশ।)
কি গো! এত দেরি?
নীল। কি করবো বল, রেজিষ্টার ব্যাটা আহাম্মুক্‌ কোন রকমেই রেজেষ্ট্রী কর্ত্তে চায় না। আর সে ব্যাটার যে কথা, কে মরেছে, কি সে মলো, ব্যাটা যখন চোট্‌পাট্ শুনলে তখন থ হয়ে রৈল।
ভব। তুমি কি বল্লে, তুমি কি বল্লে?
নীল। বল্লেম, আমি মরেছি, চুরট খেয়ে।
ভব। তা এইতে এত দেরি?
নীল। না, আর পাঁচজন বন্ধুবান্ধবকে নেমন্তন্ন করে এলুম, ছিষ্টিধর বলেছে, শ্রাদ্ধর পর গার্ডেন পার্টি হবে।
ভব। বল কি! তবে আমারো তো দু পাঁচ জন বন্ধু বান্ধবকে বলতে হবে, আমি এই বেলা বেরিয়ে পড়ি।
নীল। দাঁড়াও, পুরুৎ ঠাকুর আসুন, তিনি বলেছেন তোমার মুখঅগ্নির পর তোমার্ শ্রাদ্ধ বন্ধ থাকবে না।
ভব। তুমি কি আমারও ডেথ রেজেষ্ট্রী করে এসেছ নাকি?
নীল। করলুম বৈ কি! এবারে বড় রেজেষ্টার ব্যাটা জব্দ হ’ল। মুদ্দফরাশকে কিছু দিয়ে, একটা কলেজের মুদ্দর্ দেখিয়ে বল্লুম এই আমার স্ত্রী।
ভব। ছিঃ তুমি বড় অসভ্য! আমি চল্লুম, আমি কাটিয়ে আসি গে, আমি কি ওম্‌নি অসভ্য মরণ মরবো?
নীল। তুমি আমায় তেমনিই পেলে বটে! দেখে এস গে এখনো লাস্ জলে নি, আগে গাউন প’রিয়ে তবে লাস দেখিয়েছি।