পাতা:সভ্যতার পাণ্ডা.pdf/৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সভ্যতার পাণ্ডা।

পু-বর্ষ। একটা ছোঁড়া নিতান্ত মন্দ নয়, সে যা যা ক’র্‌বে বল্‌ছে যদি পারে, ছোঁড়াটা নাম রেখে যাবে, কিন্তু তার কথায় বিশ্বাস হচ্ছে না। সে সব ফটোগ্রাফ্‌ এনেছে চমৎকার চমৎকার, বল্‌ছে সে এই সব পারবে।
সভ্যতা। তুমি এ সব অবিশ্বাস ক’র না। তোমার পূর্ব্ব পূর্ব্ব মহাত্মারা কি কাজ না করে গেছেন, আর তুমিইবা কি না কর্‌লে? একি কেউ সম্ভব ভেবেছিল, হিঁদুতে মুরগী খাবে? বামুন খৃষ্টান হবে? কূলের বধু মেম সেজে হাওয়া খাবে, পূজায় সাহেবের খানা হবে, বাপ ব্যাটায় গার্ডণ পার্টি করবে, বেশ্যার সঙ্গে স্ত্রীর আলাপ করে দেবে, বাপ মাকে পৃথক করবে? তুমি তো সব জান, তোমায় আর কি বলবো! আর ধর না, তুমিই যখন ফটোগ্রাফ দেখিয়েছিলে, তিরানব্বই সাল কি না বলেছিল? যে “ও ছেলে মানুষ পেরে উঠ্‌বে না। তুমি হিন্দু ডাইভোর্স অ্যাক্‌ট কল্পনা করলে, আর যার বাড়া নাই, রামায়ণ মহাভারতকে অশ্লীল প্রমাণ করলে।
পু-বর্ষ। তা পারে ভাল। দেখুন ঐ আসছে, আমি বু্ড় হয়েছি, শীতে আর দাঁড়াতে পারচ্ছিনে, এই কটাদিন কাজ কর্‌ছি, পয়লা থেকে আমায় ছুটী দেবেন।
সভ্যতা। অবিশ্যি! কালগর্ভে তোমার জন্য যশের মন্দির হয়েছে, পেন্‌সেন্ নিয়ে সেখানে গে বিরাম ক’রো। তবে যদি কখন কোন নূতন বৎসরে তোমার কীর্ত্তির কোন নজীর দরকার হয়, তা এক্ এক্‌বার এ’সে সাক্ষী দিয়ে যেও।
পু-বর্ষ। তা আমার সাক্ষী দিতে আস্‌তে হবে না, রাজবাড়ি