পাতা:সমসাময়িক ভারত (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোরসের সহিত যুদ্ধ Rwa তুমি কি আমার খ্যাতির কথা অবগত নও যে তুমি আমার সহিত যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইয়াছ ? বিশেষতঃ যাহারা আমার পদানত হয় তাহাদিগের প্রতি আমি কিরূপ ব্যবহার করি তাহার দৃষ্টান্ত নিকটবৰ্ত্তী তাক্ষিলিস হইতেই দেখিতে পারিতে।” পোরস্য উত্তর করিলেন “যখন আপনি একটা প্ৰস্তাব উত্থাপন করিয়াছেন, তখন আপনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া যে স্বাধীনতার পরিচয় প্ৰদান করিয়াছেন, আমিও সেইরূপ স্বাধীনতার সহিত প্ৰত্যুত্তর দিব। আমি মনে করিতাম যে, আমি অপেক্ষা আর কেহ সাহসী নাই ; আমি আমার নিজের বলের বিষয়ই পরিজ্ঞাত ছিলাম ; কিন্তু আপনার বল পরীক্ষা করি নাই। যুদ্ধের ফলে আমি বুঝিতে পারিয়াছি যে আপনিই অধিকতর সাহসী ; কিন্তু আপনার পরবত্তীস্থান অধিকার করিলেও আমি নিজেকে বিশেষ সৌভাগ্যশালী মনে করি।” বিজেতা তঁহার সহিত কিরূপ ব্যবহার করিবেন, এই সম্বন্ধে পুনর্বার জিজ্ঞাসিত হইলে তিনি উত্তর করিলেন, “এই দিবসের শিক্ষায় যেরূপ অভিরুচি হয়—সমৃদ্ধি কি প্রকারে সহজেই নষ্ট হয় তাহার প্রমাণ অদ্যই পাইয়াছেন।” তোষামোদ অপেক্ষ এই উপদেশেই পোরস অধিকতর লাভবান হইলেন। কারণ আলেকজান্দার, পোরসের সাহসে এবং তঁহার বিপদকালে স্থৈৰ্য্য দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া, তাহার দুরদৃষ্টে দুঃখিত হইলেন ও গুণের সম্মান করিলেন। পোরস। তঁহারই পক্ষভুক্ত হইয়া যুদ্ধ করিয়াছেন, ঠিক এইরূপভাবে আলেকজান্দার তঁহার ক্ষতস্থানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করিলেন এবং পোরস্য শক্তিলাভ করিলে র্তাহাকে স্বীয় বন্ধুর মধ্যে পরিগণিত করিয়া শীঘ্রই পোরসকে তাহার নিজরাজ্য অপেক্ষা বৃহত্তর রাজ্য উপহার প্রদান করিলেন। প্রকৃতপক্ষে