পাতা:সমসাময়িক ভারত (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩২০

ՀԳՀ প্ৰাচীন ভারত করিতে স্বীকৃত হইল। তিনি তাহাদিগকে আশাপূর্ণ হৃদয়ে বিদায় করিয়া, যাহাতে সমগ্ৰ এসিয়া বিজয়ের পরে তিনি পৃথিবীর সীমান্ত প্রদেশে অবস্থিত সমুদ্রে গমন করিতে পারেন। তজ্জন্য জাহাজ নিৰ্ম্মাণের আদেশ করিলেন । নিকটবৰ্ত্তী পৰ্বতমালায় জাহাজ নিৰ্ম্মাণোপযোগী প্রচুর কাষ্ঠ ছিল এবং সৈন্যগণ কাষ্ঠচ্ছেদন কালে অত্যন্ত বৃহদাকারেরর সর্প (২) দেখিতে পাইল। তাহারা তথায় গণ্ডারও দেখিতে পাইয়াছিল ; এই পশু অন্যত্র কুত্ৰাপি দৃষ্ট হয় না। ভারতবর্ষে এই পশু এই নামে অভিহিত হয় না ; ইহা এতদেশীয় ভাষা-অপরিজ্ঞাত গ্ৰীকগণ কর্তৃক প্রদত্ত হইয়াছে। নরপতি হাইড্যাসপিসের উভয় তীরে দুইটী নগর নিৰ্ম্মাণ করিয়া প্ৰত্যেক সেনাপতিকে সহস্ৰ সুবর্ণমুদ্রা বাতীত এক একটা সুবর্ণমুদ্রা প্ৰদান করিলেন। অপর সকলকেও তাহার বন্ধুত্ব অথবা তাহদের কাৰ্য্যের তুলনায় পুরস্কৃত করিলেন। পোরসের সহিত যুদ্ধ ঘটিবার পূর্বে অভিসারিস আলেকজান্দারের নিকট দূত প্রেরণ করিয়াছিলেন। তিনি এক্ষণে পুনর্বার দূত প্রেরণ করিয়া আত্মসমর্পণ ব্যতীত অন্য সকল আদেশ প্ৰতিপালনেই স্বীকৃত হইলেন ; তিনি নিবেদন করিলেন যে, রাজোপযোগী ক্ষমতা বিরহিত হইয়া, অথবা বন্দী অবস্থায় থাকিয়া ঐ ক্ষমতা পরিচালন করিতে অসমর্থ হইলে তিনি প্ৰাণ ধারণ করিতে পরিবেন না। আলেকজান্দার দূতগণকে উত্তর ubu (২) অনেক গ্ৰীকৃ গ্রন্থকার ভারতীয় সৰ্পের কথা লিখিয়াছেন। আরিয়ান, ষ্টাবো, মেগাস্থেনিস, ও অন্যান্য গ্রন্থে সৰ্পের দৈর্ঘ্যের উল্লেখ দেখা যায়। ‘সমসাময়িক ভারত' প্ৰথমখণ্ডে ষ্ট্রাবের বৃত্তান্ত দ্রষ্টব্য।