পাতা:সমসাময়িক ভারত (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৈন্যদিগের প্রতি সম্ভাষণ २१७ করিলেন যে, তাহদের প্রভু তাহার নিকট আগমন করিতে অনিচ্ছুক হইলে, আলেকজান্দার স্বয়ং অভিসারিসের নিকট গমন করিবেন। কিয়দ রবর্তী অন্য একটা নদী উত্তীর্ণ হইয়া, আলেকজান্দার ভারতবর্ষের আভ্যন্তরীণ প্রদেশে প্ৰবেশ করিলেন । এই স্থানের বনভূমি বিশাল ভূভাগ ব্যাপিয়া ছায়াপ্রদানকারী অত্যন্ত উচ্চ বৃক্ষে পূর্ণ ছিল। সাধারণ বৃক্ষতুল্য বৃহৎ বৃহৎ শাখা মৃত্তিকা পৰ্যন্ত বিলম্বিত হইয়া পুনৰ্ব্বার আকাশগামী হওয়াতে সেগুলি কাণ্ড হইতে নিৰ্গত শাখা অপেক্ষা মূল্যবৃক্ষের ন্যায়ই বোধ হইতেছিল (৩) ৷ জলবায়ু স্বাস্থ্যকর ছিল ; ছায়ার জন্য ঐ স্থানে অত্যধিক উত্তাপ বোধ হইত না এবং উৎসসমূহ হইতে প্রচুর জল প্ৰাপ্ত হওয়া যাইত। কিন্তু এস্থানেও বহু সৰ্প ছিল এবং ইহাদের চৰ্ম্মগুলি সুবর্ণের ন্যায় উজ্জ্বল। অন্য সৰ্প অপেক্ষা শেষোক্তগুলির বিষ অধিকতর মারাত্মক ; এতদেশবাসিগণ কর্তৃক ঔষধ প্ৰযুক্ত না হইলে দংশন মাত্রেই দষ্ট ব্যক্তিকে মৃত্যুমুখে পতিত হইতে হয় ( ৪ )। এই স্থান হইতে মাসিদোনিয়গণ মরুভূমির মধ্য দিয়া হিরাওটস তীর পর্য্যন্ত অগ্রসর হইল; এই নদীর তীরও নিবিড় বনভূমি দ্বারা আবৃত ছিল এবং এই বন অন্যত্র অপরিজ্ঞাত বৃক্ষ ও বন্য ময়ুরে পূর্ণ। এই স্থান হইতে স্কন্ধাবার উঠাইয়া লইয়া আলেকজান্দার অনতিদূরবত্তী একটা নগরে উপনীত হইলেন। নগর প্রাচীরের চতুষ্পার্শ্ব আক্রমণ করিয়া (৩) বটবৃক্ষ। ষ্ট্রাবো, প্লিনি, ও আরিয়ান এই বৃক্ষের উল্লেখ করিয়াছেন । অনেক ইংরাজ কবিও ইহার প্রশংসা করিয়াছেন। ( 8 ) ইলিয়ানস নামক গ্ৰন্থকার লিখিয়াছেন যে কেবল ভারতীয় চিকিৎসকগণ সর্পবিষের ঔষধ জ্ঞাত ছিল, গ্ৰীকগণ এযাবৎ উহা আবিষ্কারে সমর্থ হয় নাই। (2-9, 8-y O