পাতা:সমসাময়িক ভারত (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় কৈনসের বক্তৃতা কিন্তু এরূপ সম্বোধনেও সৈন্যগণ বাঙুনিস্পত্তি করিল না। ক্ষত ও যুদ্ধক্ষেত্রের অবিরত ক্লেশের জন্য তাহারা তাহদের সামরিক কৰ্ত্তব্য সম্পাদনে অস্বীকৃত ছিল না, কিন্তু যে কারণে তাহারা অসমর্থ হইয়াছিল তাহা আলেকজান্দারকে জ্ঞাত করাইবার জন্য তাহারা সেনাপতি ও প্ৰধান অধিনায়কগণের জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিল । কিন্তু কৰ্ম্মচারিবৃন্দ ভয়ে কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া নতমস্তকে নিস্তব্ধ রহিল। তৎপরে সকলের অজ্ঞাতসারে প্রথমতঃ দীর্ঘনিশ্বাস, পরে অল্প ক্ৰন্দন আরম্ভ হইল, অবশেষে ক্রমে ক্রমে তাহদের দু:খ ক্ৰন্দনস্রোতে পরিণত হইল ; এমন কি সর্বশেষে স্বয়ং আলেকজান্দারও। ( যাহার ক্ৰোধ সহানুভূতিতে পরিণত হইয়াছিল) ক্ৰন্দন নিবারণে অসমৰ্থ হইয়া সৈন্যদের সহিত যোগদান করিলেন। পরিশেষে সমবেত জনসঙ্ঘের অপ্রতিহত ক্ৰন্দনের পরে, যখন কৈনস দেখিলেন যে অপর সকলেই প্ৰত্যুত্তর প্রদানে অনিচ্ছুক, তখন তিনি সাহস করিয়া নরপতি যে আসনের উপরে দণ্ডায়মান ছিলেন তথায় অগ্রসর হইয়া প্ৰকাশ করিলেন যে, তাহার কিছু বলিবার আছে । সৈন্যগণ তঁহাকে মস্তকাবরণ উন্মোচন করিতে দেখিয়া ( রাজাকে সম্বোধন করিতে হইলে এই প্ৰথাই অবলম্বন করিতে হইত) তাহদের স্বপক্ষে বলিবার জন্য প্রার্থনা করিতে লাগিল । কৈনস তখন নিম্নোক্ত মৰ্ম্মে বলিতে লাগিলেন-“দেবতাগণ যেন