পাতা:সমসাময়িক ভারত (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 প্ৰাচীন ভারত এরূপ অর্থ নহে। ভারতীয় বেতনভুক সৈন্যগণ বিপদের গুরুত্বে ভীত না হইয়া চক্রাকারে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া মধ্যস্থলে নারী ও শিশুগণকে স্থাপনপূর্বক আক্রমণকারীদিগের বিরুদ্ধে তাহাদিগকে রক্ষা করিতে লাগিল, এক্ষণে তাহারা প্ৰাণের মায়া ত্যাগ করিয়া এরূপ দুঃসাহসিক ও বীরোচিত কৰ্ম্ম করিতে লাগিল যে, এই যুদ্ধ তাহদের শক্রগণের পক্ষে বিপজ্জনক হইয়া উঠিল। একদল বৰ্ব্বরের নিকট এতাদৃশ কাৰ্য্যে মাসিন্দনীয়গণের পরাস্ত হওয়া অত্যন্ত অপমানের কাৰ্য্য বলিয়া বিবেচিত হইল। এই সঙ্কটকালের আশঙ্কায় সকলে বিস্মিত ও ভীত হইয়া উঠিল। প্রতিদ্বন্দ্বিগণ হাতাহাতি যুদ্ধ করিতে লাগিল, তাহারা নানাপ্রকারে হতাহত হইতে লাগিল। একপক্ষে মাসিন্দনীয়গণ দীর্ঘ বর্শদ্বারা বর্বরগণের চৰ্ম্ম চূর্ণ করিয়া তীক্ষ্ম বর্শার অগ্রভাগ দ্বারা তাহাদের বক্ষ ভেদ করিতে লাগিল ; অপর পক্ষে বেতনভুক সৈন্যগণ শত্রুর ঘন সন্নিবিষ্ট সৈন্যদলকে লক্ষ্য করিয়া বর্শনিক্ষেপপূর্বক তাহাদিগকে নিহত করিতে লাগিল। এইরূপে যখন বহুলোক হতাহত হইল, তখন নারীগণ নিহতদিগের অস্ত্ৰগ্ৰহণ করিয়া পুরুষের পার্থে দণ্ডায়মান হইয়া যুদ্ধ করিতে প্ৰবৃত্ত হইল। বিপদের আসন্নতা এবং স্বার্থ ও প্ৰতিপত্তিনাশের সম্ভাবনায় নারীগণ প্ৰকৃতিবিরুদ্ধ কাৰ্য্য করিয়া আত্মরক্ষার্থে এরূপ কাৰ্য্যে ব্ৰতী হইল। সুতরাং যে সকল নারী অস্ত্ৰ পাইয়াছিল তাহারা বৰ্ম্মম্বারা স্ব স্ব স্বামীকে প্ৰাণপণে রক্ষা করিতে আরম্ভ করিল, আর যাহারা অস্ত্ৰ পায় নাই তাহারা আক্রমণকারিগণের উপরে পড়িয়া এবং তাহদের চৰ্ম্ম বলপূর্বক ধরিয়া শত্রুর বিন্ন উৎপাদন করিতেছিল। আক্রান্ত বর্বরগণ নিরাশভাবে সপত্নীক যুদ্ধ করিয়াও অবশেষে শত্রুর সংখ্যাধিক্য নিবন্ধন পরান্ত হইল এবং অপমানিত হইয়া জীবনধারণ করা অপেক্ষা প্ৰশংসনীয়