পাতা:সমসাময়িক ভারত (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওরিটিয়ানদের সমাধির প্রথা \ry অত্যন্ত অসভ্য জাতির সাক্ষাৎ পাইলেন। এই দেশীয় লোকে জন্মদিবস হইতে বৃদ্ধ বয়স পৰ্যন্ত নখ কাটে না, সেগুলি বৃদ্ধি পাইতে থাকে, কেশ বাড়াইয়া মস্তকে জটা বাধে। ইহাদের গাত্রের বর্ণ সূৰ্য্যোত্তাপদগ্ধ এবং বন্য জন্তুর চৰ্ম্মই ইহাদের পরিচ্ছদ। ইহারা সমুদ্রোৎক্ষিপ্ত তিমি মৎস্যের মাংসে জীবন ধারণ করে। প্রাচীর প্ৰস্তুত করিয়া এবং তিমি-পঞ্জরে ছাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া ইহারা বাসগৃহ প্ৰস্তুত করে। তিমি-পঞ্জর হইতে ১৮ হস্ত দীর্ঘ কড়িকাষ্ঠ পাওয়া যায়। ছাদের আবরণের জন্য টালী ব্যবহার না করিয়া তাহারা মৎস্যের শঙ্ক ব্যবহার করে। এই অসভ্যদের দেশের মধ্য দিয়া যাইবার সময়ে আলেকজান্দার খাদ্যাভাবে অত্যন্ত কষ্ট পাইয়াছিলেন। ইহার পরবর্তী রাজ্যে র্তাহার কষ্ট আরও বাড়িল ; কারণ এই প্ৰদেশ মরুভূমি এবং জীবনধারণোপযোগী সর্বপ্রকার খাদ্যবর্জিত, খাদ্যাভাবে বহুলোকের মৃত্যু হওয়ায়, সাহসী মাসিদোনীয়গণের হৃদয় দমিয়া গেল এবং আলেকজান্দারও বড় সাধারণভাবে শোকগ্ৰস্ত ও ठिंख्ाश्ङि হইলেন না। তাহার যে সৈন্যদল মানবজাতিকে শৌৰ্য্য ও বীৰ্য্যে অতিক্ৰম করিয়াছে তাহারা যশোহীন হইয়া মরুভূমিতে খাদ্যাভাবে প্রাণত্যাগ করিবে-এ চিন্তা তাহার পক্ষে অসহ্য হইল। তিনি তজ্জন্য তৎক্ষণাৎ পাৰ্থিয়া, ড্রাঙ্গিয়ানি, এরিয়া ( ২ ) ও মরুভূমির পার্শ্ববৰ্ত্তী অন্যান্য দেশে দূত প্রেরণ করিলেন ও এই সকল দেশের শাসনকর্তৃগণকে অনুরোধ করিলেন যে, তাহারা যেন ७छे ७ অন্যান্য ভারবাহী পশুর উপর খাদ্য ও অষ্ঠাষ্ঠ প্ৰয়োজনীয় দ্রব্য (২) পারস্য-রাজ্যের অন্তর্গত ক্ষুদ্র প্রদেশ-মেশেদ হইতে হিরাট পৰ্য্যন্ত विसूड ।