পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বধৰ্ম্মানুষ্ঠান। মানবগণের যত উৎকৃষ্ট ভূষণ আছে, তন্মধ্যে ধৰ্ম্মই সৰ্ব্বাপেক্ষা গরীয়ান। ধৰ্ম্মই মোক্ষ নিকেতনের সোপান ও ধৰ্ম্মই একমাত্র যশের প্রশস্ত আকর। এই ধৰ্ম্ম বাহ্যাড়ম্বর ও কপট স্থানে অবস্থিতি করেন না । নিৰ্ম্মল সরল চিত্তে ই হার অবস্থিতি, এবং সৰ্ব্বত্রে বিদ্যমান রছিয়াছেন। সংপ্রতি আম্মদেশে ধৰ্ম্ম লইয়া বিস্তর বাদ বিতগু চলিতেছে ; বিবেচনা করিলে প্রতীয়মান হইবে, পৃথিবীর মধ্যে যত জাতি আছে, সকলেরই মুলধৰ্ম্ম এক । বেদ, সুতি, পুরাণ, তন্ত্র প্রভৃতি হিন্দুদিগের ধৰ্ম্ম শাস্ত্র । মুসলমানদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্র কোরণ এবং খ্ৰীষ্টানদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্র বাইবেল। সকল শাস্ত্রেই এক অদ্বিতীয় নিরাকার পরমেশ্বর মনুষ্যের উপাস্য বলিয়। কথিত হইয়াছে। দয়ারত্ব বৃহস্পতি সুত্র ইত্যাদি বৌদ্ধদিগের ধৰ্ম্ম শাস্ত্রে যদিও ঈশ্বরারাধনার মতভেদ আছে, কিন্তু ঐ শাস্ত্রে মিথ্যা কথন, জীবহিংসা, পরস্বাপহরণ ও পরপীড়ন প্রভূতি কৰ্ম্ম কে পাপ ও অহিংসা অস্তুেয় পরোপকার , প্রভৃতিকে পুণ্য বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে, এবং কি হিন্দু কি মুসলমান, কি য়িহুদি কি খ্ৰীষ্টান সকল জাতির ধৰ্ম্মশাস্ত্রে, বৌদ্ধ শাস্ত্রের ন্যায় বিধিবদ্ধ রহিয়াছে। সুতরাং ! সকলেরই মুলধৰ্ম্ম এক, স্বীকার করিতে হইতেছে । কেবল জাতীয় আচার ব্যবহার বিভিন্ন। ঐ জাতীয়