পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዻy সমাজ-সংস্করণ। অনেকে খ্ৰীষ্ট মন্ত্রে দীক্ষিত হইতেছেন। যদি দেশের অধিপতিদিগের ধৰ্ম্ম গ্রহণ করা বিহিত হয়, তবে তার ধৰ্ম্মে দৃঢ় বিশ্বাস কোথায় ? যদি প্রাণীপেক্ষা ধৰ্ম্ম সম্যক আদরণীয়, তবে বিভীষিকায় ভীত হইয়া অন্য ধৰ্ম্ম গ্রহণ করা অতি কাপুরুষের কৰ্ম্ম বলিতে হইবে* । যাহার স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া অন্য ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন, তাছার কি বিশ্বাসী বলিয়া গণ্য হইবেন ? এ কথা স্বীকার্য্য বটে যে, কোন দেশেরই রীতি নীতি বিশুদ্ধ নাই, প্রত্যেক জাতির কোন না কোন বিষয়ে দোষ লক্ষিত হইবে, কিন্তু স্বদেশ হিতৈষী ব্যক্তির কর্তব্য স্ব স্ব জাতির কুপ্রথা ংশোধনে যত্নবান হওয়া কোন কুপ্রথা দৃষ্টে বা ক্রোধাধীন হইয়া স্ব-ধৰ্ম্ম চ্যুত হওয়া নিতান্ত উপহাসাম্পদীভূত মূঢ়ের কৰ্ম্ম। যে ভারতভূমি সভ্যতার আদিম স্থান, যে ভারত ভূমিতে ধৰ্ম্মশাস্ত্র বেদ বিরাজ করিতেছেন তথাকার অধিবাসীরা যে বিজাতীয় ধৰ্ম্মে আস্থা প্রদর্শন করেন ইহা অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় ! আরও পিতামাতার দোষে সন্তানগণ অন্য ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া থাকে, কারণ র্তাহাদিগের অর্জনস্পৃহা বৃত্তি অতি বলবতী। আগে জাতিভাবা ও ধৰ্ম্ম তত্ত্ব উপদেশ না দিয়া অর্থের নিমিত্ত অল্প বয়স্ক সুকুমারমতি বালক বৃন্দকে ভিন্ন জাতীয় ভাষা অধ্যয়নে নিয়োগ করিয়া থাকেন। তাহারা যে ভাষা অনুশীলন করে, তদ্ধৰ্ম্মের অঙ্কুর কিছু কিছু তাহাদিগের মুকোমল চিত্তে অঙ্ক,রিত

  • যবন রাজাদিগের ভয়ে অনেক হিন্দু মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া ছিলেন ।