পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৬ সমাজ-সংস্করণ । পুতুলের সূহত সেই মূৰ্ত্তির তুলনা করিতেগেলে দেবতাদিগের প্রতি অবজ্ঞা করা হয়। যে দেবী জগৎজননী র্তাহাকে ব্যভিচারিণীর আকৃতি পুতুলের সহিত উপম৷ দেওয়া কি মুঢ়তার কৰ্ম্ম নহে ? বিবেচনা করুন যদি কোন ভদ্র লোকের আরুতির অনুকরণ সামান্য পুতুলে করা হয় এবং ঐ পুতুলে কোন অঙ্গের বৈলক্ষণ্য হয় তবে তিনি নিশ্চয়ই মনে মনে বিরক্ত হইবেন। তবে আর সুরগণের সন্তোষ বিধান কোথায় রছিল। পুতুল পূজার আধিক্য বাঙ্গালীদিগের মধ্যেই দৃষ্ট হয়। যদি উছ হিন্দুদিগের পরম ধৰ্ম্ম হইত তবে ব্রহ্মর্ষি প্রদেশ ও ব্রহ্মাবৰ্ত্ত প্রদেশে অবশ্যই প্রচলিত থাকিত। ঐ সকল প্রদেশ হিন্দুদিগের আদিম বাসস্থান, এবং তথায় অনেক বেদবেত্তা লোক আছেন। বাঙ্গালীর প্রায়ই বেদাধ্যয়ন বিহীন। পুতুল পুজা শ্রেষ্ঠত্বরূপে গণ্য হইলে ঐ সমুদায় প্রদেশীয় লোকে কখনই ঐ পুজায় বিমুখ থাকিতেন না। . অস্মদেশীয় লোকে পূজোপলক্ষে যত অর্থ ব্যয় করেন, তাহার অধিকাংশই প্রতিমায় ও জঘন্য নৃত্য গীতাদিতে পৰ্য্যবসিত হয়। দান ভোজনাদি সৎকর্মের সময় বিষম টানাটানি ঘটিয়া উঠে। অনেক স্থলে দেখা গিয়াছে সামান্য নর্তকী সহাস্য বদনে ও পুরোহিত মহাশয় দীন নয়নে কৰ্ম্মীর নিকেতন হইতে নিঃস্থত হইতেছেন। এক এক প্রতিমার সাজই বা কত, দুই তিন দিন পরে ঐ বহু ব্যয় সম্পন্ন প্রতিমা জলে নিঃক্ষিপ্ত হইয়া থাকে। কি দুঃখের বিষয় ; এতাদৃশ অন্যায্য কৰ্ম্মে