পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ । '\సీ দিতে নিতান্ত অভিভূত হইয় পড়ে। এ কথার মীমাংস এই যে, যদি পরাৎপর পরমেশ্বরের প্রতি মন রাখিয়, আশ্রমোচিত কৰ্ম্ম সমাধা করা যায় তবে আর সাংসারিক কষ্টে ক্লিষ্ট হইতে হয় না, যেমন স্বপ্নাবস্থায় ও ইন্দ্রজালিক বিদ্যা প্রভাবে সম্ভবাসম্ভব বিষয় সমুদায় সন্দর্শন পুৰ্ব্বক, হর্ষ বিষাদ সমুপস্থিত হইয়া নিদ্রা ভঙ্গে সমস্ত ব্যাপার অলীকত্ব রূপে প্রতীয়মান হয়, সাংসারিক কাৰ্য্যও তদ্রুপ অলীক বোধ হইবে। ষেমন কোন নৰ্ত্তকী স্বীয় শিরোপরি বারি পাত্ৰাদি রাখিয়া, হাব ভাব ও কটাক্ষ করত নৃত্য করিয়া থাকে কিন্তু তাহার মন নিয়ত বারি পাত্রের দিকে, এক দৃষ্টে চাহিয়া থাকে। যেমন কোন পুংশ্চলী স্ত্রী স্বীয় প্রিয় পাত্রের অন্বেষণে অন্তরেন্দ্রিয়কে নিরন্তর নিযুক্ত করিয়া দেয়, পরিজন ভয়ে গৃহকার্য্যে সতত তৎপর, অথচ সময়ে সময়ে কাৰ্য্যন্তর ব্যপদেশে আবাস বাটীর বহির্ভাগে গমন পূর্বক অভিসার অবলোকন করিয়া আইসে। যেমন কোন ভূপৃষ্ঠে বস্ত্র পাতিত করিয়৷ তাছাতে অগ্নি প্রদান করিলে ঐ বস্ত্রের সারত্ব অন্তহিত হইয়া যায়, যতক্ষণ কিঞ্চিৎ প্রবল বায়ু অথবা অন্য কোন বস্তু দ্বারা স্পর্শিত না হয়, ততক্ষণ উহার অবয়ব থাকে, তাহার ন্যায় চঞ্চল চিত্তকে ঈশ্বরের প্রতি অর্পণ করিয়া শরীরকে সাংসারিক কাৰ্য্য সাধনে নিয়োগ করা নিতান্ত আবশ্যক। বশিষ্ঠ মহাশয় রাম চন্দ্রের প্রতি এই উপদেশ করিয়াছিলেন। যথা