পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ । t সেবায় নিযুক্ত হয়েন ? না ত্বরায় পৈতৃক সম্পত্তি সমুদয় অপব্যয় করতঃ নিঃস্ব হইয় পড়েন ? ভূমগুলে যত প্রকার ভাষা প্রচলিত আছে, তন্মধ্যে সংস্কৃত ভাষার সদৃশ উৎকৃষ্টতম ভাষা দ্বিতীয় অবলোকিত হয় না । ( যিনি এই ভাষার রসাস্বাদন করেন নাই তাহাকে এক প্রকার প্রতারিত বলিলেও বলা যায় । ) অক্ষেপের বিষয় এই যে আমাদিগের দেশের সাধারণ লোকে এই ভাষা শিক্ষা করেন না। অস্মদেশীয় চতুম্পাঠীতে ঐ ভাষা অধীত হইয়া থাকে, তথায় কেবল যাজক, অধ্যাপক ও মন্ত্রদাতা গুরু এই কয়েক শ্রেণীস্থ লোকে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিয়া থাকেন। সংপ্রতি প্রজাবৎসল ব্রিটি গবর্ণমেন্ট রূপা করিয়া বিদ্যালয় সমুহে ংস্কৃত ভাষা পাঠনার নিয়ম প্রচলিত করিয়া প্রজাগণের যার পর নাই উপকার সাধন করিয়াছেন। চতুষ্পাঠীতে যে প্রণালীতে ঐ ভাষা অধীত হইয় থাকে, তাহ কোন ক্রমেই উত্তম প্রণালী বলিয়। স্বীকার করা যায় না, কারণ তথাকার ছাত্রের সুদ্ধ স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ শিক্ষা করিয়া ব্যাকরণে উপনীত হয়; তাহারা গণিতে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ থাকে। আনা, পাই, কাহন, সের, কিরূপে অঙ্কপাত করিতে হয় তাহা পৰ্য্যন্তও জানে না, ব্যাকরণে উপস্থিত হইয় তাহারা দিশে হার হয়, যে হেতু সাহিত্যে কিছু মাত্র দৃষ্টি না থাকাতে ব্যাকরণে তাহাদিগের বুদ্ধি প্রবেশ করিতে পারে না। আচাৰ্য্য মহাশয়ের সর্বদাই ছাত্রদিগকে এই বলিয়া উপদেশ দিয়া থাকেন যে ব্যাকরণ সমুদায় শাস্ত্রের চক্ষু স্বরূপ, উহা অগ্ৰে হৃদগত করিতে