পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ । y 8సి প্রত্যক্ষীভূত বিবিধ সুখকর বস্তুর জন্য প্রয়াস না পাইয়া, ঈশ্বরীরাধনায় কষ্ট সাধ্য ধ্যান প্রাণায়মাদির বিশেষ প্রয়োজন কি ? কিন্তু প্রাসাদদি ঐ সমস্ত ক্ষণবিদ্ধংসী বস্তুর পরিণাম বিবেচনা করিতে গেলে, উচ্ছার অসুখের নিদান হইয় উঠে। অদূরদর্শী অজ্ঞ ব্যক্তিগণ ঐ সকল বস্তুর আত্যন্তিকী সেবা করে। যেমন কোন উচ্চস্থানচু্যত ব্যক্তির আঘাত প্রাপ্ত বেদনযুক্ত শরীরোপরি উষ্ণ প্রলেপাদি দিতে গেলে, সে ঐ সময়ের মধ্যে সুখানুভব করে ; সাংসারিক সুখও তদ্রুপ । প্রহার, কষ্টেরই হেতু ; কোন সুস্থকায় ব্যক্তিকে সামান্য মুস্ট্যাঘাত করিলে সেই ব্যক্তি ব্যথিত হয়। কিন্তু যাহার বাতক্রিান্ত শরীর সে ব্যক্তি মুট্যাঘাত প্রার্থনা করে। উল্লিখিত ভোজ্যাদি বস্তু সমুদায় বাসনাব্যাধির ঔষধ মাত্র। যাহার রোগ নাই তাহার ঔষধেরও প্রয়োজন নাই। মন । সাবধান হও, তুমি যেন প্রবৃত্তির অধীন হইয়া বিষয়-নরকে পতিত হইও না। তাহেরহ নিবৃত্তির সঙ্গ লাভে যত্নবান হও । জীব-নিচয়ের জীবন গিরি নদীর স্রোতের ন্যায় শীঘ্র গামী। জলফেণা যেরূপ আশু জলে বিলীন হয়, শরীরীদিগের শরীর তদ্রুপ অচিরকাল মধ্যে, পঞ্চভূতে বিলীন হয়। অতএব কালাকাল বিচার না করিয়া, সত্বর ব্রহ্ম পরায়ণ হওয়া কৰ্ত্তব্য। মানবগণ বাল্য কালাবধি বাক্যে কহেন যে, দেহ ক্ষণ বিদ্ধংসী, পরমাত্মাই সত্য ; কিন্তু র্তাহাদিগের এই কথা বিহঙ্গমের বাক্যোচ্চারণের সদৃশ ; অর্থাৎ পতত্রীদিগকে যাহা পড়ান যায়, পুনঃ পুনঃ উহার