পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

şte সমাজ-সংস্করণ। তাহাই উচ্চারণ করে, ভাবাৰ্থ বুঝিতে পারে না; সেই রূপ র্তাহারাও ঐ বাক্যের মৰ্ম্ম বুঝিতে পারেন না। কেহ কেহ এমন মনে করেন, বাল্যকাল কেবল ক্রীড়ার সময়, যৌবন কালে ধৰ্ম্ম পথের অনুবর্তন করা যাইবে। যখন যুবাকাল উপস্থিত হয়, তখন তাহদের প্রমার্থী ইন্দ্রিয় বৃত্তি সকল সবলীকত হইয় উঠে, সুতরাং কার্য্যাকাৰ্য্য বিচার শূন্য হইয়া নিয়ত অসন্মার্গে বিচরণ করে, সন্মখে যে সৰ্ব্বনিয়ন্ত রহিয়াছেন, একবারও সে দিকে দৃষ্টিপাত করে না। তখন কেবল এক একবার মনে করে বৃদ্ধাবস্থায় নিষ্কৰ্ম্ম হইয়া কেবল তন্তু চিন্তা করিব; কিন্তু যখন জর আসিয়া দেহপূরে প্রবেশ করে, তখন সে পরিবারদিগের নিতান্ত অধীন হইয় পড়ে, লোভ রিপু অত্যন্ত প্রবল হয়, সৰ্ব্বদাই আহারের জন্য ব্যস্ত, গমনাগমন শক্তি থাকে না। মনুষ্যের হিতাহিত জ্ঞান একেবারে যায় না, তখন মধ্যেমধ্যে স্মরণ করে, হায়! বৃথা কার্য্যে সময়তিবাহিত করিয়াছি, এইক্ষণে তাহার আর কোন উপায় হইতে পারে না। এইরূপ অনুতাপে তাহারা তাপিত হয়। র্যাহার কছেন পরে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করা যাইবেক, তাহাদিগের বড় সহজ ভ্রম নয়। যেমন.কোন লোক স্নান করিবার জন্য সমুদ্রোপকূলস্থ উত্তাল তরঙ্গ দৃষ্টে মনে মনে করে, এই তরঙ্গ নিবৃত্ত হইলে অবগাহন করিব, এইরূপ বলিতে বলিতে আবার তরঙ্গ আসিয়া উপস্থিত হয় ; সে ব্যক্তিও ঐরূপ মনে মনে অপেক্ষা করিতে থাকে, এইরূপ ঢেউ গণিতে গণিতে বেল অবসান হইয়া উঠিল, তবু তাহার স্বান করা হইল না। জীবগণের ইন্দ্রিয় তরঙ্গও সেইরূপ