পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa সমাজ-সংস্করণ । ন পারিলে অন্যান্য শাস্ত্রে প্রবেশাধিকার হয় না ; এই বলিয়া অদৌ ব্যাকরণ আবৃত্তি করিতে দেন, উছা আবৃত্তি করিতে অভাবতঃ দুই তিন বৎসর সময় অতিবাহিত হয়, তদনন্তর অর্থের সহিত অভ্যাস করিতেও তিন চারি বৎসর সময়ের সাপেক্ষ হইয় উঠে, তাহাতেও সম্যক ব্যুৎপত্তি জন্মে না। কিন্তু যদি ঐ ছাত্রদিগকে প্রথমে দুই এক খানি সরল সাহিত্য ও তৎ সমভিব্যহারে কিছু কিছু গণিত অভ্যাস করাইয়া ব্যাকরণ পড়িতে দেওয়া হয়, তাহা হইলে ব্যাকরণ আর তাহদের পক্ষে তাদৃশ কঠিন বোধ হয় না, তখন অলপ সময়ের মধ্যে তাহার উছার ভাবার্থ হৃদগত করিতে সক্ষম হয়। সকল জাতীয় লোকে অগ্রে কিছু কিছু ভাষা ও তৎপরে ব্যাকরণ শিক্ষা করিয়া থাকে। কিন্তু সংস্কৃত শাস্ত্ৰাধ্যাপক মহাশয়ের এই সাধারণ নিয়মের বিপরীত অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন। যাহা হউক কালের গতি ক্রমে ক্রমে মন্দ হইয়া উঠিতেছে, সুদ্ধ এক ব্যাকরণ লইয়া ৬৭ বৎসর সময় অতিবাহিত করা কৰ্ত্তব্য হইতেছে না, অন্যান্য শাস্ত্র কিছু কিছু জানা আবশ্যক। অতএব সংস্কৃত শিক্ষক মহাশয় দিগের বর্তমান রাজ-পুরুষগণের শিক্ষা প্রণালী অবলম্বন করিয়া অধ্যাপন কাৰ্য্য সম্পাদন করা সৰ্ব্বতোভাবে বিধেয় । চতুষ্পাঠীর শিক্ষক ও ছাত্রের সচরাচর মাতৃ ভাষায় কথোপকথন করিয়া থাকেন। কিন্তু ঐ ভাষায় অবজ্ঞাও করিয়া থাকেন। ই হাদিগের বিষয় কৰ্ম্মে নিপুণত শুনিলে আস্যে হাস্য আসিয়া উপস্থিত হয়। বিষয়