পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ । १ ংক্রান্ত একখানি পত্রিকায় চিটিতলব খাজান পং* এইরূপ লিখছিল। একজন সংস্কৃত শাস্ত্ৰাধ্যায়ী ঐ পত্র খানি এইরূপে পড়িলেন যে, না তাহার না অন্য ব্যক্তির কাহারও অর্থের অবগতি হইল না, যথা চিটিত লবখ জানাপং । অন্য এক চতুষ্পাঠীর ছাত্রের হস্তাক্ষরে দৃষ্ট হইল, তিনি দুই অনার জল খাবার কিনিয়া ছিলেন তাহার হিসাব এইরূপে লিখিয়া রাখিয়াছেন, যথা আষাঢ়স্য সপ্তম দিবসে ক্রীত জল পানীয় সামগ্ৰী দুই তানার। প্রায় সৰ্ব্বদাই এরূপ দেখা যায় যে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ ভূমি সংক্রান্ত একখানি পাট্ট বা একখানি কবচ লিখাইবার জন্য বিষয়ী লোকদিগের উপাসনা করিয়া থাকেন, ইহা কি লজ্জার বিষয় নহে? তাহার যৎকিঞ্চিৎ সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিয়াছেন বলিয়া মনে মনে অহঙ্কার করিয়া থাকেন, কিন্তু এরূপ অহঙ্কার করা কি মুঢ় বুদ্ধির কৰ্ম্ম নহে? যুব সম্প্রদায়ীদিগের মধ্যেও অনেকেই ঐরুপ সংস্কৃত ভাষাধ্যায়ীদিগের ন্যায় বাঙ্গালী ভাষায় অশ্রদ্ধা করিয়া থাকেন। র্তাহারা জাতীয় সম্বৰ্দ্ধন ও স্বাগত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা পরিত্যাগ করিয়া ইংরাজ জাতির অনুকরণ করিয়া থাকেন এবং স্বীয় ভাষায় কথা বাৰ্ত্ত কহিতে কহিতে তাহার মধ্যে অনেক ইংরাজী শব্দ ব্যবহার করেন, এরূপ ইংরাজী শব্দ ব্যবহার করা র্তাহার এক প্রকার শ্লাঘার বিষয় জ্ঞান করিয়া থাকেন, তাহার কারণ এই যে বিশুদ্ধ বাঙ্গালী বা বিশুদ্ধ ইংরাজী ভাষায় কথোপকথন করেন, এত দূর পর্য্যন্ত র্তাহাদিগের T* সংক্ষেপে পরগণার পরিবর্তে পদ্ধ লিখিবর রীতি আছে।