পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by সমাজ-সংস্করণ । পাঠ অগ্রগামী হয় নাই। অনেক সুবিজ্ঞ ইউরোপীয় লোকে তাহাদিগের ঐরূপ বিমিশ্র ভাষায় কথোপকথন করিতে দেখিয়া বিদ্রুপ করিয়া থাকেন। এরূপ উপহাসের স্থল না হইয়া বিশুদ্ধ নাই হউক, চলিত বঙ্গ ভাষায় কথাবার্তা কহা উত্তম বলিয়৷ বিবেচিত হইতেছে। ঐ যুবtসম্প্রদায়ীদিগকে বাঙ্গালা ভাষায় কোন পত্ৰাদি লিখিবার সময় আমাদিগকে সঙ্কুচিত হইতে হয়, কারণ ঐ পত্রাদি দ্বারা তাহারা আপনাদিগকে অবমানিত বোধ করিয়৷ থাকেন। হায় ! তাহাদিগের কি চমৎকার স্বদেশানুরাগ । যে যে স্থানে গবর্ণমেন্ট সাহায্যকৃত বাঙ্গাল পাঠশাল প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে তৎ তৎ স্থানে মাতৃ ভাষার সুচারুরূপ আলোচন হুইয়া থাকে । কিন্তু যে স্থানে উক্ত রূপ বিদ্যালয় নাই তথায় অদ্যাপিও জঘন্য শিক্ষা প্রণালী চলিতেছে, এমন কি তথায় সাহিত্য ও নীতির কোন প্রসঙ্গই নাই। সাহিত্যের মধ্যে গুরু মহাশয়ের গঙ্গার বন্দন ও গুরুদক্ষিণ ছাত্রদিগকে পড়াইয়া থাকেন, নীতির মধ্যে চাণক্যের শ্লোক পড়াইবার রীতি আছে, কিন্তু যাহারা সংস্কৃতের জলও স্পর্শ করেন নাই, তাছাদিগের নিকট হইতে যত শুদ্ধ উচ্চারণ ও সদর্থ সংগ্ৰহ হইতে পারে তাহ পাঠক মহাশয়ের বিবেচনা করিতে পারেন। পূর্বে গুরু মহাশয়দিগের পাঠশালায় প্রয়োজনীয় বিষয়, চিঠা জমাবন্দী ও পত্র কৌমুদী প্রভৃতি অধীত হইত, দুর্ভাগ্য ক্রমে সংপ্রতি রহিত হইয়া আমিয়াছে, কারণ গুরু মহাশয়দিগের মধ্যে ঐ সকল বিষয়ের শিক্ষক পাওয়া দুর্লভ হইয়া উঠিয়াছে। অধুনা দেখা