পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ ! ૨૭ কৌলীন্য প্রথা। প্রায় আট শত বর্ষ অতীত হইল, বৈদ্যবংশসম্ভ.ত বঙ্গভূমীশ্বর বল্লালসেন কর্তৃক এই প্রথা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, সুতরাং উহা অত্যন্ত অাধুনিক প্রথা, কোন শাস্ত্রে উহার বিধি নাই। বল্লালসেন তৎকালে “ আচারে। বিনয় বিদ্যা প্রতিষ্ঠ তীর্থ দর্শনং নিষ্ঠ বৃত্তি স্তপোদানং নবধ কুললক্ষণং ”, এই নবগুণ সম্পন্ন ব্যক্তিদিগকে কুলীন উপাধি দিয়াছিলেন। এই নিয়মের অন্যথায় অর্থাৎ উপরোক্ত নবগুণ বিরহিত ব্যক্তি কুলীন বলিয় গণ্য হইতে পারেন না । কিন্তু এইক্ষণে কৌলীন্য মৰ্য্যদ বংশানুক্রমে প্রচলিত হওয়াতে বঙ্গ ভূমির দিন দিন দুরবস্থা ঘটিতেছে। ঐ প্রভাবে অসুদাদির প্রাচীন রীতি নীতি ও সনাতন হিন্দু-ধর্মের উত্তরোত্তর মূলোৎপাটিত হইতেছে, ঐ প্রথা কত বংশজ ব্রাহ্মণের বংশ ধূংসে তৎপর রহিয়াছে, এতদূর শত শত কুলবর্তী সতীত্ব ধৰ্ম্মে জলাঞ্জলী দিতেছে, শত শত তরুণ বয়স্ক ললনা বিষম বৈধব্য-যন্ত্রণ ভোগ করিতেছে ও শত শত সদ্বংশে শঙ্কর বর্ণোৎপাদিত হইয়া পিতৃলোকের জলপিও রহিত করিতেছে। ফলতঃ কৌলীন্য প্রথ যে বঙ্গদেশের এক মহানর্থের নিদান তাহা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিবার বাধ৷ নাই। কি আশ্চৰ্য্য ! নবগুণের ত কথাই নাই কুলীন বংশজাত বৃদ্ধ ও নান দেবাশ্রিত ব্যক্তির ও ভূরি ভরি বিবাহের অভাব থাকে না, তার বংশজ ব্রাহ্মণ যদি বিদ্বন ও সচরিত্র ছন তথাপি সর্বস্বাস্ত করিলেও তাছার একটা