পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ। २१ দিগকে কন্যা দান করিয়া পাপগ্ৰস্ত হইতেছেন কি না ? পাঠক মহাশয়ের বিবেচনা করিবেন। কুলীন সন্তানদিগের মধ্যে অনেকেরই এইরূপ স্বভাব হইয়া গিয়াছে যে, তাহার স্ত্রী পুত্ৰ লইয়া সংসার যাত্র নির্বাহ করেন না, তাহারা পরিবারের সহিত প্রায়ই শ্বশুরালয়ে থাকেন, যিনি কুলীনকে কন্যা দান করেন, তাছাকে যাবজ্জীবন কন্যা ও জামাতাকে প্রতিপালন করিতে হয়। সুদ্ধ কন্যা ও জামাতা নয়, তাহাদিগের সন্তান সন্ততিদিগকেও ভরণ পোষণ করিতে হয় । জামাতা ও দৌহিত্রদিগকে প্রতিপালন করার দেয এই যে, তাহার। অনায়াসে অহার ও পরিধেয় পায় বলিয়। প্রাণান্তেও পরিশ্রম করিতে চায় না, ও সাতিশয় বিলাসী হইয় উঠে। ঐ পরোপ জীবীগণের কুত্ৰাপি আদর নাই, রুতি লোক সকলেই তাহাদিগকে অপদার্থ জ্ঞান করে। যখন জগদীশ্বর সাধারণ মনুষ্যদিগকে হস্ত পদাদি ও ছিতাহিত জ্ঞান শক্তি প্রদান করিয়াছেন, তখন যে কি বলিয়া কুলীন সন্তানের স্বাবলম্বন না করেন বুঝিতে পারি না । তাস্মদেশীয় ধনবান লোকের যে, জামাত{ ও দৌহিত্রদিগকে প্রতিপালন করেন, তাহাদিগের কথঞ্চিৎ পার আছে, দরিদ্র লোকের দুঃখের অবধি নাই, একে তাহার। আপন আপন পুত্র ও পুত্রবধূ প্রতিপালনে তাক্ষম, তাহার উপর আবার ভাগিনেয় ও ভাগিনেয়ী এবং দৌহিত্র ও দৌহিত্রী লইয়। নিতান্ত বিবৃত হইয়। দুঃখার্ণবে পতিত হয়। কুলীন সন্তানের মহদ্বংশে জন্মিয়ছেন, অর্থাৎ তাহা