পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ । ৩১ বহুবিবাহ অত্যন্ত অনিষ্টকরী প্রথা, এক ব্যক্তি গতাসু হইলে এককালে বহু কামিনীকে বৈধব্যাবস্থায় পতিত হইতে হয়। বিধবাগণের যে অসহনীয় যাতন, বিশেষতঃ অবীরাগণের, তাছা অনেকেরই বিদিত আছে ; কিন্তু যদি বহু-বিবাহকারীদিগের অন্তঃকরণে কিঞ্চিৎ উদ্বোধ হয় এজন্য সংক্ষেপে কিঞ্চিৎ লিখিতে বাধ্য হইলাম। বিধবাগণ সৰ্ব্বক্ষণ সৰ্ব্ব-বিষয়ে কুষ্ঠিত হইয় কষ্টে স্বটে কালহরণ করে। একে পঞ্চশরের সুতীক্ষু শরে তাহাদিগের হৃদয় বিদীর্ণ করিতেছে, তাহার উপর আবার বাটীর পরিবারগণের দুৰ্ব্বাক্যানলে উহার অনবরত উত্তাপিত হয়। তাশনের ক্লেশ, বসনের ক্লেশ, শয়নের ক্লেশ, তাহার উপর আবার মনের ক্লেশ, ইহাতে কি তার তাহারা প্রাণধারণ করিতে পারে? তাহাদিগের দীর্ঘ-জীবন বিড়ম্বন মাত্র । হা বিধাতঃ ! তুমি কি প্রস্তরাপেক্ষা ও বিধবাগণের প্রাণ কঠিন-তর করিয়া দিয়াছ ? আহা ! কোথায় তাহাদিগের হেমময় তা ভরণ, কোথায় তাহাদিগের দুগ্ধফেণনিভ বিশদ শয্যা, কোথায় তাহাদিগের কুটিল কুন্তলে কবরী, কোথায়ই বা তাহাদিগের অঙ্গে সেগন্ধিক পদার্থ ? কি পরিতাপের বিষয়! নিদঘ সময়ে যখন প্রভঞ্জন অলক্ষিত প্রায় সঞ্চরণ করেন, এবং প্রখর অংশুধর স্বীয় তীব্ররশ্মি বিকীর্ণ-পুরঃসর অবনীকে উত্তাপিত করেন, তখন জীবগণের সাৰ্ব্বক্ষণিক শুককণ্ঠ উপস্থিত হয়, এবং তৎকালে তাহার। সুশীতল সলিল পন করিয়া তৃষ্ণানল নিৰ্বাপিত করে, এতাদৃশ সময়ে একাদশী তিথি বিধবানিকরের পক্ষে