পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 সমাজ-সংস্করণ । ত্রিংশদ্বর্ষে বহেং, কন্যাং হৃদাং দ্বাদশ বার্ষিকীং । ত্ৰাট বর্ষে ইষ্টবৰ্ষাং বা ধর্মে সাদভি সম্বরং । ( भन्नु:) ! যাহার বয়স ত্রিশ বৎশর, সে দ্বাদশ বর্ষ বয়স্ক কন্যাকে ও যাহার বয়স চব্বিশ বৎসর, সে অষ্ট বর্ষ বয়স্ক কন্যাকে বিবাহ করিবে । এই কাল নিয়ম অতিক্রম করিয়া বিবাহ করিলে ধৰ্ম্ম ভ্ৰষ্ট হয়। মনুর বচনানুসারে পুরুষদিগের বাল্য-বিবাহ নিষিদ্ধ পক্ষই বলবৎ মানিতে হইতেছে। অলপ বয়সে বিবাহের দোষ এই যে, যখন পুরুষের বয়ঃক্রম পঞ্চদশ বা ষোড়শ বৎসর হয়, তখন তাহার ভাৰ্য্যাও বয়স্থ হইয়া উঠে । পুরুষদিগের বিদ্যাভ্যাসের সময় স্ত্রী সংসর্গ ঘটিলে, তাহার বিদ্যানুশীলন বিষয়ে শিথিল প্রযত্ব হইয় উঠে। ঐ ষোড়শ বর্ষীয় পুরুষদিগের হিতাহিত বিবেক শক্তির সম্যক্ ক্ষর্তি হয় না, তাহার স্বাভাবিক অলপমতি, সুতরাং তৎকালে নব প্রণয়িনীর নিতান্ত অধীন হইয়া পড়ে। এবং তন্নিবন্ধন হীন-বীৰ্য্য, অলস ও জড় বুদ্ধি প্রায় হইয়া উঠে। যদি বীজ সুপক্ক ও সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর না হয়, এবং ঐ বীজ যদি উর্বরভূমিতে বপিত না হয়, তবে তদুৎপন্ন শস্য বা ফলেরও ব্যাঘাৎ হইয়া থাকে । বিবেচনা করিয়া দেখিলে বৃক্ষাদির ফলোৎপন্নের নিয়মের সহিত মনুষ্যদিগের সন্তানেৎপত্তির নিয়মেরও অনৈক্য নাই। মানবগণেরও এরূপ অপক্ক বীৰ্য্যে অপত্যেৎপাদিত হইলে, সেই সন্তান অপায়ু, হীনবল ও ক্ষীণকায় হইয়া থাকে।