পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 সমাজ-সংস্করণ । আশ্চৰ্য্য ! পুরাকালে স্ত্রীলোকদিগের বিদ্যানুশীলনের ভূfর ভূরি নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায়, এবং শাস্ত্রেও স্ত্রীশিক্ষার বিধি দৃষ্ট হইতেছে। বিদ্যা অমূল্য ধন, যিনি আন্তরিক উৎসাহে ও একান্ত যত্নে এই অমূল্য রত্ন হৃদ্ভাণ্ডারে সঞ্চয় করিতে পারিয়াছেন, তাহারই মনুষ্য জন্ম সার্থক। অভাগ্যবতী বঙ্গবালাগণ এতাদৃশ রত্বে বঞ্চিত হইয়া চিরদারিদ্র্যদশায় পতিত রহিয়াছে, ইহা কি সামান্য পরিতাপের বিষয় ? আহা! তাহার। চক্ষু সত্তেও তষ্ক । যাহারা মাতা, পিতা ও ভ্রাতা প্রভৃতি বন্ধুজন দিগকে এক প্রকার পরিত্যাগ পূর্বক জীবন যৌবন সকলই স্বামীকে সমর্পণ করতঃ সৰ্ব্বক্ষণ সেই পতির অনুবৃত্তি করিতেছে, তাহাদিগকে জ্ঞান রত্বের অধিকারিণী করিবার নিশিন্ত যত্নবান হওয়া কি স্বামীদিগের উচিত ক নয়? উদ্বাহ সংস্কারাবধি মৃত্যুপৰ্য্যন্ত যাহাদিগের সহিত সহবাস করিতে হইবে তাহারা যদি অজ্ঞানান্ধত হেতু কোন ন্যায় বিরুদ্ধ কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হয়, তাহাতে কি পতিগণ পাতকী হইবেন না ? সহধৰ্ম্মিণীদিগকে শারীরিক পরিশ্রমের বেতন স্বরূপ বসন ভূষণ অর্পণ করিলেই তাছাদিগের প্রত্যুপকার কর শেষ হয় না, যাহাতে তাহদিগের ঐহিক ও পারত্রিকের সুখেমতি হয় সে বিষয়ে সচেষ্ট হওয়া অবশ্য বিধেয় । বিদ্যা দ্বারা দূষিত চরিত্র সংস্কৃত ও পবিত্রীকৃত হয়, কতক গুলি অসামান্য ত্যজ্ঞ নর এই বিদ্যার মহিমা না জানিয়া কহেন যে, বিদ্যাভ্যাসে বামাগণের ব্যভিচার