পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 0. সমাজ-সংস্করণ । পঞ্চদশ বস্তু ভোজনে নিষেধ করিয়াছেন, এবং ঐ কারণে ঋতুভেদে ভোজ্য বস্তুর নিষেধ বিধি দৃষ্ট হইয় থাকে। যদ্রপ বিটপীর মুলীগ্রে অবিরত স্বত্তিক প্রদান করিয়া জলসেক করিলে সেই পাদপের পুষ্টিকারিত শক্তি নষ্ট হইয়া আশু বিনষ্ট হয়, এজন্য মধ্যে মধ্যে জলসেক ও স্বত্তিক প্রদানের বিরাম অবশ্যক হয়। সেইরূপ আমাদিগের নিয়ত তা হারে, অগ্নিমান্দ্য হুইয়া রোগোৎপাদন করে, এই নিমিত্তে পক্ষান্তরে এক দিবস করিয়া অনশনে থাকিয়া বা লঘু আহার করিয়া অগ্নির দীপ্তি করা আবশ্যক, তন্নিমিত্ত শাস্ত্ৰকৰ্ত্তারা একাদশীর নিয়ম নিরূপিত করিয়াছেন, ঐ একাদশীর উপবাস কি পুরুষ কি সধবা কি বিধবা সকলেরই উপর বিধি। বিধবাগণের উপর একাদশীর কিছু কঠিন নিয়ম লক্ষিত হয়, কারণান্বেষণে বোধ হয়, যে, যে কারণে তাহাদিগের ব্রহ্মচৰ্য্য বিধিবদ্ধ হইয়াছে, সেই কারণেই একাদশীর কঠিন নিয়ম নির্দিষ্ট হইয়াছে। অস্মদেশীয় কতকগুলি লোকের এইরূপ এক সংস্কার আছে যে একাদশীর দিন বিধবাদিগকে কোন ঔষধ বা বিন্দুমাত্র জল প্রদান করিলে ধৰ্ম্মচু্যত হইতে হয়। কিন্তু সকল শাস্ত্রের উদ্দেশ্য এই যে, অগ্ৰে দেহ রক্ষা ও তৎপরে ধৰ্ম্ম প্রতিপালন। যদি বিধবাদিগের নিতান্ত পীড়িতাবস্থায় একাদশী আসিয়া উপস্থিত হয়, সেই দিন তাহাদিগকে ঔষধ না দিলে পীড়া বৃদ্ধি হইয় তাহাদিগের দেহ নাশ করে, অথবা অতিবেল পিপাসায় জল না দিলে হত্যু ঘটনা হয়, এমন অবস্থায় তাহার যদি কুসংস্কার পরিত্যাগ না করেন, তাহা হইলে কি