পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ । to সমভাবে বিদ্যমান রহিয়াছে, তখন পার্ষ্যমানে জীব হিংসায় তৎপর হওয়া কোন ক্রমেই যুক্তি-সিদ্ধ নহে। জন্তুমাত্রেই এক বিশ্বাধিপের প্রজা ; কোন প্রাণীর প্রতি অকারণ অত্যাচার বা তাহাদিগকে হিংসা করিলে নিঃসন্দেহ বিশ্ব সমুটের সমীপে দগুস্থ হইতে হইবে। যদি বল জীব হিংস ব্যতীত জীবগণের জীবন ধারণের উপায়ান্তর নাই ; এমন কি, আমরা নিত্য যে জল পান করি, তাহাতে কোটি কোটি জীব রহিয়াছে। এ প্রশ্বের উত্তর এই যে, অচিন্ত্য পুরুষের অসীম কাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করা জীবগণের বুদ্ধির গম্য নহে। ইহা বলিয়াই যে নিরস্ত থাকা কোন ক্রমেই উচিত হয় না। যাহার যত দূর বুদ্ধির পরিণতি তাহার ততদূর আলোচনা করা বিধেয়। সেইরূপ র্তাহার নিয়ম যতদূর পারি, আমাদিগের প্রতিপালন করা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য । এক জীব হিংস{ করা হইল ৰলিয়। আর একটি জীব নাশে উদ্যত হওয়া যুক্তি বহির্ভূত কৰ্ম্ম সন্দেহ নাই। এবং ঐক্লপ জীৰ হিংসা করা আমাদিগের ইচ্ছায়ত্ত নহে। আমাদিগের অকামতঃ জীব ছিংস করা হইয় থাকে বলিয়া শাস্ত্রে পঞ্চস্থন পাপের জন্য মাতৃ-পিতৃ শ্রাদ্ধের অগ্রে অঙ্গপ্রায়শ্চিত্তের ও প্রাত্যহিক উপাসনার বিধি নিরূপিত হইয়াছে। এ স্থলে ঈশ্বরের নিকট তজ্জন্য ক্ষমা প্রার্থনা বলিতে হইবে। এইক্ষণে ইহাই নির্দিষ্ট হইল যে, অকামতঃ জীব-হিংসকোন রূপেই শ্ৰেয়স্কর নহে। শীতল দেশীয় লোকে জীব-হিংসা করিয়া জীবিক নির্বাহ করে, যেহেতু তথায় শস্যাদি জন্মে না। এ বিষয়ের স্থির সিদ্ধান্ত