পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরস্ত্রী গমনের দোষ। জগদীশ্বর জীব-প্রবাহ রক্ষা করিবার নিমিত্ত স্ত্রীপুরুষ উভয় জাতির স্বাক্ট করিয়াছেন। কিন্তু এক পুরুষে বহুস্ত্রীতে ও এক স্ত্রীলোকে বহু পুরুষে আসক্তি করিলে স্বাক্টর কার্য্য সুশৃঙ্খলারূপে সম্পাদিত হওয়া দুঃসাধ্য হইয়া উঠে। এই জন্য প্রাচীন পণ্ডিতগণ বৈবাহিক নিয়ম সংস্থাপিত করিয়া মরলোকের যারপর নাই হিত সাধন করিয়াছেন। এক বস্তুতে উভয়ের ইচ্ছা থাকিলে পরস্পর বিবাদ ঘটিবার বিলক্ষণ সম্ভাবন। একজন পুরুষের বিবাহিত বা রক্ষিত স্ত্রীতে অন্য ব্যক্তি অমুরাগী হইলে তদুপলক্ষে হত্যা পৰ্য্যন্ত ও ঘটিবার আটক নাই, এই কারণে হত্যা ও দাঙ্গাকাও প্রায়ই বেশ্যালয়ে ঘটিয়া থাকে, অথচ বেশ্যার নাম বারবিলাসিনী । বৈবাহিক নিয়মের উদ্দেশ্য এই যে পরিণীত ভাৰ্য্য ভিন্ন অন্য কামিনীতে ইচ্ছা করিবে না। এজন্য শাস্ত্রকারের কহিয়াছেন "মাতৃবং পরদারেষু।” স্বীয় কামিনীর সহিতও সৰ্ব্বদা কাম ক্রীড়া করিবে না। ব্যবায় অর্থাৎ অপরিমিত স্ত্রী-সেবা করিলে যক্ষমাদি রোগ জমিয়া থাকে। বোধ করি পাঠক মহাশয়ের মহাভারত গ্রন্থে বিচিত্রবীর্ঘ্য ও বুধিতাশ্বের দুরবস্থা শুনিয়া থাকিবেন। এই অপরিমিত স্ত্রীসেবা নিবারণার্থে অন্মদেশীয় পূর্বতন পণ্ডিতেরা পঞ্চ পৰ্ব্ব ঋতুদিবসত্রয় শ্ৰাদ্ধ বাসর ও_