পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wł সমাজ-সংস্করণ। হইয়া যাহার পাণিগ্রহণ করিয়াছেন তিনি যদি সহধৰ্ম্মিণীকে প্রবঞ্চনা করিয়া অন্য রমণীর প্রণয়-পাশে আবদ্ধ হন, তবে তাহার পত্নীও অন্য পুরুষে অভিলাষিণী হইলে তাহারও সেই বনিতার অপরাধ মার্জন করা উচিত i যদি স্ত্রীলোকদিগের সতীত্বই প্রধান ধৰ্ম্ম হয়, এবং ঐ সতীত্ব রক্ষা করিতে না পারিলে তাহাদিগকে ধৰ্ম্ম ভ্ৰষ্ট হইতে হয়, তবে পুরুষগণও দাম্পত্য ধৰ্ম্ম রক্ষা না করিয়া পরযোধিতে আসক্ত হইলে অবশ্য ধৰ্ম্মভ্রষ্ট হইবেন। পরদার বিরত পুরুষের পত্নী, পর-পুরুষে অনুরাগিণী হইলে তাহাকে যদি বিশ্বাসঘাতিনী হইতে হয় ; তবে পতিব্রতার পতি যদি পরদারে প্রসক্তি করেন, তাহা হইলে তাহাকেও নিশ্চয়ই বিশ্বাসঘাতী হইতে হইবে। সীমন্তিনীগণের স্বামী বিয়োগ হইলে আমৃত্যুকাল যদি তাহাদিগের ব্রহ্মচৰ্য্য পরম ধৰ্ম্ম হয়, তবে পুরুষদিগেরও স্ত্রী বিয়োগ হইলে আজীবন তাহাদিগেরও ব্রহ্মচৰ্য্য পরম ধৰ্ম্ম জ্ঞান করা উচিত । কোন কোন ব্যক্তির এইরূপ সংস্কার অাছে যে, স্ত্রীবিয়োজিত বা অবিবাহিত পুরুষ যদি কাছার ও নিস্কলঙ্ক কুলে কলঙ্কারোপ না করিয়া বেশ্যালয় গমন করেন, তবে তাহার দোষ গ্রাহ্য হইতে পারে না। আমরাও এ কথা স্বীকার করি বটে, কিন্তু তবে নিরপরাধা বিধবা গণের দোষ কি ? তাহাদিগের বিবাহ কেন না হয় ? হায়! দেশের কি বিচার! যাহাদিগের সহধৰ্ম্মিণী ব্যতীত বিলক্ষণ হস্ত-প্রসারণ রোগ আছে, তাহারাও বিধবা বিবাহের নামে খড়গহস্ত হইয় উঠেন। পুরুষেরা যদি