পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নকলৈব নাকাল \מס পারে, নিশ্চযই তাহাব একটা অলিগিত নিষম আছে—সে নিয়ম বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে শেখানে বাহুল্য। তথাপি তার্কিক বলিতে পারে, তুমি যদি অতটা দূবে গেলে, আমি ন হয় আবে কিছুদূব গেলাম, কে আমাকে নিবাবণ কবিবে ? সে ত ঠিক কথা ! তোমাল কচি যদি তোমাকে নিবারণ ন। কবে, তবে কাহাব পিতৃপুরুষের সাধ্য তোমাকে নিবাবণ কবিয়া বাখে ? বেশভুষাতেও সেই তক চলে। যিনি আগাগোড়া বিলাতী ধবিযাছেন, তিনি সমালোচককে বলেন, তুমি কেন চাপকানেব সঙ্গে প্যাণ্ট লুন পবিয়াছ ? অবশেষে তকটা ঝগড়ায় গিয়া দাড়ায । সে স্তলে আমাব বক্তব্য এই যে, যদি অন্যায় হইয়া থাকে নিন্দ কর, সংশোধন কর, প্যাণ্ট লুনের পবিবর্তে অন্ত কোনো প্রকার পায়জাম যদি কাৰ্য্যকব ও সুসঙ্গত হয়, তবে তাহাব প্ৰবৰ্ত্তন কব—তাই বলিয়া তুমি আগাগোড়া দেশীবন্ত্র পরিহাব কবিবে কেন? একজন এক কান কাটিযাছে বলিয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি খামক দুই কান কাটিয়া বসিবে, ইহাব বাহাদুরাটা কোথায়, বুঝিতে পাবি না। নূতন প্রয়োজনের সঙ্গে যখন প্রথম পরিবর্তনের আরম্ভ হয়, তখন একটা অনিশ্চয়তাব প্রাদুর্ভাব হইয়া থাকে। তখন কে কতদূরে যাইবে, তাহার সীমা নির্দিষ্ট থাকে না । কিছুদিনের ঠেলাঠেলিব পরে পরম্পব আপোসে সীমানা পাকা হইয়া আসে। সেই অনিবাৰ্য্য অনিশ্চয়তার প্রতি দোষারোপ করিয়া যিনি পূবা নকলেব দিকে যান, তিনি অত্যন্ত কুদৃষ্টান্ত দেখান । কারণ, আলস্ত সংক্রামক ! পরের তৈবি জিনিষের লোভে নিজের সমস্ত চেষ্টা বিসর্জন দিবার নজীর পাইলে, লোকে তাহাতে আকৃষ্ট হয় । ভুলিয়া যায়, পবের জিনিষ কখনই আপনাব করা যায় না । ভুলিয়া যায, পরের কাপড় পরিতে হইলে, চিরকালই পরের দিকে তাকাষ্টয়া থাকিতে হইবে ।