পাতা:সমালোচনা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ডি প্রোফণ্ডিস।
৬৭

গিয়াছে। কেননা তাহার মন এই বলে যে, অমন যাহার গলা না-জানি তাহাকে কেমন দেখিতে ও তাহার মনটিও কত কোমল হইবে! ভালো করিয়া দেখিলে পৃথিবীর দ্রব্যে নাকি নানা প্রকার অসম্পূর্ণতা দেখা যায়। কাহারও বা গলা ভালো, মন ভালো নহে, নাক ভালো, চোখ ভালো নহে– তাই আমরা বড়ো বিরক্ত, বড়ো অসন্তুষ্ট হইয়া আছি! সেই জন্যই দূর হইতে আমরা আধখানা ভাল দেখিলে তাড়াতাড়ি আশা করিয়া বসি বাকিটুকু নিশ্চয়ই ভালো হইবে। ইহা যদি সত্য হয় তবে দূরেই থাকি-না কেন, কল্পনায় পূর্ণতার প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করি-না কেন –রক্ত মাংসের অত কাছে ঘেঁষিবার আবশ্যক কী; শরীর ও আয়তন যতই কম দেখি, অশরীরী ভাব যতই কল্পনা করি, বস্তুগত কবিতা যতই কম আহার করি ও ভাবগত কবিতা যতই সেবন করি, ততই তো ভালো।


ডি প্রোফণ্ডিস্।

 টেনিসনের রচিত উক্ত কবিতাটির যথেষ্ট আদর হয় নাই। কোন কোন ইংরাজ সমালোচক ইহাকে টেনিসনের অযোগ্য বলিয়া মনে করেন, অনেক বাঙ্গালী পাঠক ইংরাজ সমালোচকদের ছাড়াইয়া উঠেন। ইংলণ্ডের হাস্যরসাত্মক সাপ্তাহিক পত্র “পঞ্চে” এই কবিতাটিকে বিদ্রুপ করিয়া De-Rotundis নামক একটি পদ্য প্রকাশিত