পাতা:সমুদ্রজয়ী কলম্বাস - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমুদ্রজয়ী কলম্বাস

 যে-সময়ের কথা আমরা আলোচনা করছি, সে-সময় পুঁথিগত বিদ্যা আজকের মত এত প্রসার লাভ করে নি... তখন পুঁথি এত সুলভও ছিল না···তখন বিদ্যা ছিল জ্ঞানী বা অভিজ্ঞ লোকের মনে। যেখানে তাঁরা থাকতেন, সেখানে গিয়ে তাঁর শিষ্যত্ব নিয়ে তবে সে বিদ্যা আয়ত্ত করতে হতো···বিশেষ করে ভূগোল বিদ্যা তখন, অতি শৈশব অবস্থায় ছিল···ভাল মানচিত্র পাওয়াই যেতো না...

 কলম্বাস ঘুরে-ঘুরে সেই সব জ্ঞানী লোকদের সঙ্গে দেখা করতে লাগলেন···প্রত্যেককে এশিয়া সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন···সকলেই এশিয়া সম্বন্ধে এমন সব কথা বলেন, যাতে মনে হয়, সে-দেশ সোনা আর মরকত মণি দিয়ে তৈরী!

 সেই সময় টসানেলী নামে একজন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ছিলেন, তিনিই ছিলেন সে-যুগের শ্রেষ্ঠ মানচিত্রকর। টসানেলী পৃথিবীর একটী মানচিত্র তৈরী করেছিলেন। সেই মানচিত্র তিনি কলম্বাসকে দেখালেন। তাতে তিনি আটলাণ্টিক মহাসাগরের পশ্চিমে, যেখানে এখন আমেরিকা রয়েছে, সেখানে এশিয়ার মানচিত্র আঁকেন এবং কলম্বাসকে তিনিই প্রথম সায় দিয়ে বল্লেন, তুমি যদি আটলাণ্টিক মহাসাগর ধরে পশ্চিমমুখো যাও,

১৫