পাতা:সমুদ্রজয়ী কলম্বাস - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমুদ্রজয়ী কলম্বাস

করে, ৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে সেই ভগ্ন-দেহ পিন্‌টাকে নিয়েই তিনি সমুদ্রের ভেতর ঢুকে পড়লেন।

 কিছুদুর অগ্রসর হয়ে তিনি বুঝতে পারলেন যে, পর্ত্তুগালের জাহাজ আর তাঁর নাগাল পেতে পারে না। তিনি কিছুটা আশ্বস্ত বোধ করলেন।

 এতক্ষণ পর্য্যন্ত কিন্তু তাঁর তট-ভূমি থেকে সমুদ্রের মধ্যে বেশী দূরে অগ্রসর হন নি···তট-ভুমি দৃষ্টি-সীমানার মধ্যে রেখেই তাঁরা অগ্রসর হচ্ছিলেন; কিন্তু ক্রমশ তট-রেখা অদৃশ্য হয়ে যেতে লাগলো এবং সেই সঙ্গে বাতাসের চেহারাও বলাতে লাগলো।

 এতদিন শান্ত বাতাসে এক রকম নির্ব্বেঘ্নেই তাঁরা অগ্রসর হয়ে আসছিলেন। যাত্রা করবার সময় তাঁর সহযাত্রীদের মনে যে আশঙ্কা ছিল, তা ঐ ক’দিনের সুবাতাসে কথঞ্চিৎ বিদূরিত হয়ে আসছিল; কিন্তু তটরেখা থেকে তারা যতই সমুদ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে লাগলেন, বাতাসের শান্ত মূর্ত্তি ততই পরিবর্ত্তিত হয়ে যেতে লাগলো এবং সেই সঙ্গে-সঙ্গে তাঁর সহযাত্রীদের মনে আবার আতঙ্ক মাথা তুলে জেগে উঠতে লাগলো।

 ক্রমশ বাতাস ঝড়ে পরিণত হলো, ঝড়ের সঙ্গে-সঙ্গে তরঙ্গের চেহারা বদলাতে লাগলো···সমুদ্র উন্মাদ নর্ত্তনে

৩৩