পাতা:সমুদ্রজয়ী কলম্বাস - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমুদ্রজয়ী কলম্বাস

 কলম্বাসের এই বিধানের ফলে সেই উপনিবেশের অধিকাংশ লোকই তাঁর শত্রু হয়ে উঠলো। কিন্তু তাঁর তখন সেদিকে ভ্রূক্ষেপই ছিল না। তাঁর মাথায় তখন পৃথিবীর মানচিত্র রাত-দিন ঘুরছিল! তিনি ভাবছিলেন, আরো কত নতুন দেশ আছে, অথচ সেখানে এখনো তিনি পৌঁছতে পারেন নি...যে ভারতবর্ষের কথা তিনি লোকমুখে, ইতিকথায় শুনেছেন, সেখানকার অন্তর্দেশে তিনি শুনেছেন, বড়-বড় রাজারা আছেন···পশ্চিমের অগ্রদূত হয়ে সেখানে তাঁকে পৌঁছতে হবে...যে সোনা-মণি-মরকতের কথা তিনি রাজা ফার্ডিন্যাণ্ড এবং রাণী ইসাবেলাকে শুনিয়ে এসেছেন, এখনো সে দেশে তিনি পৌঁছতে পারেন নি—তাই তাঁর মাথায় তখন রাত-দিন ঘুরছিল, নব-নব দেশের চিত্র, নব-নব তট-ভূমির স্বপ্ন···তাই কোথায় কার মনে কি হচ্ছে, সে চিন্তাই তাঁর ছিল না...যাঁকে রাজা বলে স্বীকার করেছেন, তাঁর সামনে যে বিরাট স্বপ্ন তিনি তুলে ধরেছেন, তাকে সফল করতেই হবে। কিন্তু হায়, তখন কলম্বাসের মনে কোন ধারণাই ছিল না যে, মানুষের হাতে কি কঠিন আঘাত তাঁর জন্যে অদূর ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছিল!

 তিনি স্থির করলেন, ইসাবেলায় বসে না থেকে তিনি নতুন দেশ আবিষ্কারের জন্যে বেরুবেন। তাঁর অবর্ত্তমানে