পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবেক মণিমালার আছে, মনে হয় না। হিসাবে হয়তো তার ভুল হইয়া গিয়াছে। আরও আগে ডাক্তার ডাকিতে পাঠানো উচিত ছিল। ডাক্তারকে সে ঠকাইতে চায় না, ডাক্তারের প্রাপ্য সে দু’চার দিনের মধ্যে পাঠাইয়া দিবে, মণিমালা মরুক অথবা বাচুক। তবু, গোড়ায় কিছু না বলিয়া রোগিণীকে দেখাইয়া ডাক্তারের কাছে ব্যবস্থা আদায় করার হিসাবে একটু প্ৰবঞ্চনা আছে বৈকি। এসব হিসাবে গলদ থাকিয়া যায়। কিন্তু উপায় কি ! একজন ডাক্তার না দেখাইয়া মণিমালাকে তো 2facVO5 (S3 R3 a ‘আগুন করে হাতে পায়ে সেঁক দে লতা । কঁাদিস নে হারামজাদি, ওরা উঠে যদি কান্না সুরু করে, তোকে মেরে ফেলব।” মণিমালার একটি হাত তুলিয়া সে নাড়ী পরীক্ষার চেষ্টা করিল। দু'হাতে হু'টি রুলি এখনো তার আছে। সজ্ঞানে এ রূলি সে কিছুতেই খুলিতে দেয় নাই। কাল সন্ধ্যায় জ্ঞান প্ৰায় ছিল না, তখন একবার খুলিবার চেষ্টা করিয়াছিল। চোখ কপালে তুলিয়া যন্ত্রণায় মুখ বিকৃত ৰুরিয়া মণিমালাকে খাবি খাওয়ার উপক্রম করিতে দেখিয়া সাহস হয়। নাই। এখন অনায়াসে খুলিয়া নেওয়া যায়। সে টেরও পাইবে না। সকালেই ডাক্তারকে টাকা দেওয়া চলিবে, ওষুধপত্র আনা যাইবে। কিন্তু লাভ কি কিছু হইবে শেষ পর্যন্ত ? সেইটাই ভাবনার বিষয়। রুলি-বেচা পয়সায় কেনা ওষুধ খাইয়া জ্ঞান হইলে হাত খালি দেখিয়া মণিমালা যদি হাট ফেল করে । সন্তু যখন ফিরিয়া আসিল, চারিদিক ফাঁসী হইয়া আসিয়াছে। মণিমালা ততক্ষণে খানিকটা সামলাইয়া উঠিয়াছিল। খুজিয়া নাড়ী পাওয়া যাইতেছে, নিশ্বাস সহজ হইয়া আসিয়াছে। ডাক্তার আসেন নাই শুনিয়া ঘনশ্যাম আরাম বোধ করিল। SA