পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবেক হইতে তুলিয়া একটা ঘড়ি পকেটে রাখা এত কঠিন । কিন্তু দেরী করা BBBD SS S S DDD DDD DBDBD BBDD DS BDDBBS DBDBDDD বুদ্ধিমানের কাজ। দেৱী করিতে করিতে হয়তো শেষ পৰ্যন্ত সে যখন ঘড়িটা তুলিয়া পকেটে ভরিতে যাইবে ঠিক সেই সময় কেহ ঘরে ঢুকিয়া সব দেখিয়া ফেলিবে । কেউ না দেখিলে তার কোন ভয় নাই । সদ্যবংশজাত শিক্ষিত ভদ্রসন্তান সে, সকলে তাকে নিরীহ ভালো মানুষ বলিয়া জানে, যেমন হোক আশ্বিনীর সে বন্ধু। তাকে সন্দেহ করার কথা কে ভাবিবে। ঘড়ি সহজেই হারাইয়া যায়। চাকর ঠাকুর চুরি করে, সন্ন্যাসী ভিখারী চুরি করে। শেষবার ঘড়ি কোথায় খুলিয়া রাখিয়াছিল মনে পড়িয়াও যেন মনে পড়িতে চায় না মানুষের । অশ্বিনীর সোনার ঘড়ি কোথায় ছিল, কে নিয়াছে, কে বলিতে পারিবে ! তারপর ঘড়িটা অবশ্য এক সময় ঘনশ্যামের পকেটে চলিয়া গেল । বুকের ধড়ফড়ানি ও হাতপায়ের কঁপুনি থামিয়া তখন নিজেকে তার অসুস্থ, দুর্বল মনে হইতেছে। হাঁটু দু’টি যেন অবশ হইয়া গিয়াছে। পেটের ভিতর কিসে জোরে টানিয়া ধরিয়াছে আর সেই টানে মুখের চামড়া পৰ্যন্ত সির সিরা করিতেছে । বৈঠকখানায় পা দিয়াই ঘনশ্যাম থমকিয়া দাড়াইয়া পড়িল । অশ্বিনীর পুরাণে চাকর পশুপতি উপস্থিত ভদ্রলোকদের চা পরিবেশন করিতেছে। ঘড়িটা পকেটে রাখিতে সে যে এতক্ষণ ইতস্ততঃ করিয়াছে, ঘনশ্যামের ধারণা ছিল না। হিসাবে একটা ভুল হইয়া গেল। পশুপতি মনে রাখিবো। এ ঘর হইতে তার বাহির হওয়া, তার থমক, চমক, শুকনো মুখ, কিছুই সে ভুলিবে না। “কেমন আছেন ঘোনো সম্প্র্যামবাবু? চা দিই ?” “দাও একটু।” Yo