পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ ধোপ দুরন্তু ফর্সা ধুতি ও সার্ট, পায়ে স্তাণ্ডেল। তার চেয়ে পশুপতিকে ঢের বেশী ভদ্রলোকের মত দেখাইতেছে। ঘনশ্যামের শুধু এইটুকু সান্তন যে আসলে পশুপতি চাের। আশ্বিনী নিজেই অনেকবার বলিয়াছে, সে এক নম্বরের চোর। কিন্তু কি প্রশ্ৰয় বড়লোকের এই পেয়ারের চোর-চাকরের !! এক কাপ চ দেওয়ার সঙ্গে বড়লোক বন্ধুর চাকর যে কতখানি অপমান পরিবেশন করিতে পারে খেয়াল করিয়া ঘনশ্যামের গায়ে যেন জ্বালা ধরিয়া গেল । আজ কিন্তু প্রথম নয়। পশুপতি তাকে কোনদিন খাতির করে না, একটা অদ্ভুত মাজিত অবহেলার সঙ্গে তাকে শুধু সহ কারিয়া যায়। এ বাড়িতে আসিলে অশ্বিনীর ব্যবহারেই ঘনশ্যামকে এত বেশী মরণ কামনা করিতে হয় যে, পশুপতির ব্যবহার সম্বন্ধে সচেতন হওয়ার অবসর সে পায়। না। চায়ে চুমুক দিতে জিভ পুড়াইয়া পশুপতির বঁাকা হাসি দেখিতে দেখিতে আজি সব মনে পড়িতে লাগিল । মনের মধ্যে তীব্ৰ জ্বালা ভরা অনুযোগ পাক দিয়া উঠিতে লাগিল অশ্বিনীর বিরুদ্ধে। অসহ্যু অভিমানে চোখ ফাটিয়া যেন কান্না আসিবে। বন্ধু একটা ঘড়ি চুরি করিয়াছে জানিতে পারিলে পুলিশে না দিক জীবনে অশ্বিনী তার মুখ দেখিবে না। সন্দেহ নাই। অথচ প্রথার মত নিয়মিতভাবে যে চুরি করিতেছে সেই চাকরের কত আদর তার কাছে । অশ্বিনীর সোনার ঘড়ি চুরি করা অন্যায় নয়। ওরকম মানুষের দামী জিনিষ চুরি করাই ü估西1 একঘণ্টা পরে মিনিট পাচেকের জন্য অশ্বিনীর সঙ্গে দেখা হইল । প্রতিদিনের মত আজও সে বড় ব্যস্ত হইয়া আছে। মস্ত চেয়ারে মোটা দেহটি ন্যস্ত করিয়া অত্যধিক ব্যস্ততায় মেঘ-গম্ভীর মুখে হাঁসফাশ BBBBB SS DDBDBBD BBDB DG DBBDD D DD DD BDB DS SOS