পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবেক চিরদিন এমনিভাবেই সে তার কথা শোনে, খানিক তফাতে বসাইয়া আধঘণ্টা ধরিয়া ঘনশ্যামকে দিয়া সে দুঃখ দুৰ্দশার কাহিনী আবৃত্তি করায় । নিজে কাগজ পড়ে, লোকজনের সঙ্গে কথা কয়, মাঝে মাঝে আচমকা কিছুক্ষণের জন্য উঠিয়াও যায়। ঘনশ্যাম থামিয়া গেলে তার দিকে তাকায় । হাকিম যেভাবে কাঠগড়ায় ছ্যাচড়া চোর আসামীর দিকে তাকায় তেমনিভাবে । জিজ্ঞাসা করে, “কি বলছিলে ?” ঘনশ্যামকে আবার বলিতে হয়। আজ পাঁচ মিনিটও গেল না, নীরবে ডুয়ার খুলিয়া পাঁচ টাকার একটা নোট বাহির করিয়া ঘনশ্যামের দিকে ছুড়িয়া দিল। ডাকিল৷ “পশু !” পশুপতি আসিয়া দাড়াইলে তাকে জিজ্ঞাসা করিল, “কাপড় কাচা সাবান আছে ?” ‘আছে বাবু।” “এই বাবুকে একখণ্ড সাবান এনে দাও। জামা কাপড়টা বাড়ীতে নিজেই একটু কষ্ট করে কেচে নিও ঘনশ্যাম। গরীব বলে কি নোংরা। থাকতে হবে ?” পাচিশ টাকা ধার চাহিলে এ পর্যন্ত অশ্বিনী তাকে অন্ততঃ পনেরোটা টাকা দিয়াছে, তার নীচে কোনদিন নামে নাই। এ অপমানটাই ঘনশ্যামের অসহ্য মনে হইতে লাগিল। মণিমালাকে বঁাচানোর জন্য পাঁচটি টাকা দেয়, কি অমাজিত অসভ্যতা অশ্বিনীর, কি স্পৰ্থ । পথে নামিয়া ট্রাম রাস্তার দিকে চলিতে চলিতে ঘনশ্যাম প্ৰথম টের পায়, তার রাগ হইয়াছে। ট্রামে উঠিয়া বাড়ির দিকে অর্ধেক আগাইয়া যাওয়ার পর সে বুঝিতে পারে, অশ্বিনীর বিরুদ্ধে গভীর বিদ্বেষে বুকের ভিতরটা সত্যই জ্বালা করিতেছে। এ বিদ্বেষ ঘনশ্যাম অনেকক্ষণ জিয়াইয়া রাখিবে ! হয়তো আজ সারাটা দিন, झाङ कांढ| •ॉर्थछ् । Se O