পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালী দেহের বাগানে তারই মত একজন উৎসাহী মালী কাজ আরম্ভ করিয়া দিয়াছে । রায়বাহাদুরের বাগানে কাজ করার সময়েও সে ছেড়া ময়লা কাপড় আর খাকী হাফ শাট পরিত, এখন সে সর্বদাই রীতিমত বাবু সাজিয়া থাকে। মিসেস লাইয়ন চাকর বাকরের অপরিচ্ছন্নতা ছ’চোখে দেখিতে পারে না । কাজে যাওয়ার জন্য মনোহর ছটফট করিতে থাকে, বাড়ীতে তার ভাল লাগে না । বাগানের বাহিরে আসিলেই তার ভিতরের মৃছ অভাববোধ উবিয়া যায়, শুধু থাকে বাগানের আকর্ষণ। গেটের বাহিরে পা দিয়াই সে ভাবিতে আরম্ভ করে, কতক্ষণে আবার ফিরিয়া আসিবে । মাস ছয়েক সে একরকম পৃথিবীই ভুলিয়া থাকে, কোন দিকে মন দেওয়ার অবসর পায় না । গোবরার তাসের আডিডায় যদি বা যায়। শুধু গল্প করে মিসেস লাইয়ন আর তার বাগানের। এত যে সে ভালবাসিত রায়বাহাদুরের বাগান, দু’ঘণ্টার কাজের জন্য নাম মাত্র বেতন পাইয়া সারাদিন সেখানে পড়িয়া থাকিত, ছ’মাসের মধ্যে একবার সে বাগানে উকি দেওয়ার সুযোগও তার इश्म नi ! হেমন্তের এক অপরাহে মনোহরকে একবার রায়বাহাদুরের বাড়ী যাইতে হইল। পরিষ্কার সাজ পোষাক বজায় রাখা তার একটা মস্ত সমস্যা দাড়াইয়া গিয়াছে। সহকারী ছোকরা মালী আর কত বেতন পায়, মাঝে মাঝে চকচকে একটা টাকা বিকশিশ পাইলেই বা কত জামা কাপড় কেনা যায় ! রায়বাহাদুরের ছেলে অনেক, জামা কাপড় তাদের অফুরন্ত, ছিড়িয়া অব্যবহার্য হওয়ার অনেক আগেই জামা কাপড় তারা ত্যাগ করে । আগে অনেকবার মনোহর অনেক SSRSO