পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांडी বেড়াইতে যাওয়ার জন্য বাড়ীর ভিতর হইতে বাহির হইয়া আসিল । সঙ্গে গুটী সাতেক ছোটবড় ছেলে মেয়ে। মনোহরকে দেখিয়া বৌটি ছাড়া সকলেই সমস্বরে বলিল, “কেরে, মনোহর ” সলজ্জ হাসিতে মুখ ভরিয়া মনোহর বলিল, “আজ্ঞে।” বৌটি ছাড়া সকলের পরনেই ভিন্ন ভিন্ন রঙের একরঙ শাড়ী, বৌটির শাড়ী রামধনু রঙের। ছেলেমেয়েদের ফ্রকগুলির রঙও কম বিচিত্র নয়। গন্ধের নেশায় আত্মহারা মনোহরের মধ্যে এতক্ষণে মৃদু একটা অসন্তোষের ভাব দূর করিবার জন্যই নানা আকারের এতগুলি জীবন্ত রঙীন ফুল যেন সামনে আসিয়া দাড়াইয়াছে। রায়বাহাদুরের গিল্পী বলিল, “না বলে কয়ে হঠাৎ কাজ ছেড়ে দিলি যে বড় ?” মনোহর আমতা আমতা করিয়া বলিল, “আপনারা রাখলেন না তো কি করি।” রায়বাহাদুরের গিল্পী বলিল, “রাখলাম না । কবে। আবার রাখলাম না তোকে, নেমকহারাম বজ্জাৎ ? রায়বাহাদুরের মোটাসোটা গিল্পী হাসিমুখে গালাগালি দিয়াই চাকর বাকরের সঙ্গে কথা বলে। বড় মেয়ে বলিল, “তুই নাকি লাইয়ন সাহেবের বাড়ীতে কাজ করিস ?” মেজ মেয়ে বলিল, “ভাল কয়েকটা বিলাতী ফুলের চারা এনে দে’ না আমাদের ? দিবি ?” ছোট মেয়ে বলিল, “আমাদের কাজ তো ছেড়ে দিলি, সায়েব যখন দু’দিন পরে বদলী হয়ে যাবে, তখন তুই করবি কিরে মনোহর ?” বৌটি ফিসফিস করিয়া বলিল, ‘সায়েব বুঝি বাংলো সঙ্গে নিয়ে যাবে ঠাকুরবি ?” SNSS)