পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

बांडी মিসেস লাইয়ন বলিল, “কাহে কমতি আছে ? গন্ধবালা ফুল লাগাতা নাই কাহে ?” মিসেস লাইয়নের দিকে আরও একটু ঝুকিয়া অদ্ভুত মাদকতাভিরা অচেনা মিহি সুবাস আরও একটু স্পষ্টভাবে অনুভব করিবার চেষ্টা করিয়া মনোহর সাগ্রহে বলিল, “আলবৎ লাগায়গা হুজুর। মিসেস লাইয়ন বলিল, “আলবৎ লাগায়গা। বজ্জাৎ । উলু!” ফিরিবার সময় মিসেস লাইয়নের বাগান হইতে মনোহর কয়েকটী চারা চুরি করিয়া নিয়া গেল। কাজ করিবে না শুনিয়া রায়বাহাদুরের গিয়ী চটিয়া যাইবে । চারাগুলি পাইলে একটু খুন্সী হইতে পারে। তাছাড়া নিজের জন্য কিছু পুরানো জামাকাপড় আর মিসেস লাইয়নের জন্য রায়বাহাদুরের বাগানের কয়েকটা চারাও তাকে সংগ্ৰহ করিতে হইবে। কোন বাড়ীর মেয়ের বেড়াইতে আসিয়াছিল, ঘেরা বারান্দায় মাদুর আর পাট পাতিয়া রায়বাহাদুরের গিামী সকলকে বসাইয়াছে, বাড়ীর বীে আর মেয়েরাও সকলে উপস্থিত আছে। ভিতরে ঢুকিবার আগেই মনোহর একটা অজানা জোরালো গন্ধ অনুভব করিতেছিল, সঙ্কুচিত পদে এক পা ভিতরে দিয়াই তীব্ৰ গন্ধে সে অভিভূত হইয়া দাড়াইয়া পড়িল। বাগান পার হইয়া সে ভিতরে আসিয়াছে, বাগানের গন্ধের সঙ্গে এখানকার গন্ধের কোন মিল নাই। ফুলের গন্ধ এরকম श्न न । রায়বাহাদুরের গিল্পী বলিল, “গট গট করে বাড়ীর মধ্যে ঢুকলি যে বড় ? তোর কি কাণ্ডজ্ঞান নেই ?” বৌটি ফিসফিস করিয়া বলিল, “ওতো বাড়ীর মধ্যে ঢোকেই।” রায়বাহাদুরের গিল্পী বলিল, “তুমি চুপ কর বৌমা । শোনা বলি SNO