পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনাপ্ৰস্তু আজ অপরাহ্নে নগেনবাবুর গুরুদেবের প্রতিনিধি হিসাবে তার প্রিয় শিস্য শ্ৰীমৎ বিষ্ণুপদানন্দ আসিবেন। নগেনবাবুর ছোট ছেলে ভুপালের বিবাহ হইয়াছে বছরখানেক আগে, কিন্তু বৌটিকে এখনও মন্ত্ৰপূত করিয়া লওয়া হয় নাই। কাল সব নিয়মিত অনুষ্ঠানের পর শ্ৰীমৎ কৃষ্ণপাদানন্দ নতুন বীে-এর কানে মন্ত্র দিবেন। গুরুদেব স্বয়ং আসিয়া মন্ত্র দিতে পারিলেন না বলিয়া সকলের মনেই ক্ষোভ জাগিয়াছে। কিন্তু বুড়োবয়সে তাঁর শরীর অসুস্থ, এতদূর আসিয়া পরম ভক্ত নগেনবাবুর ছোট ছেলের বৌ-এর কানে মন্ত্র দেওয়ার ক্ষমতা তার নাই। একজনের মনে শুধু ক্ষোভ নাই এ বিষয়ে। সে নগেনবাবুর বড় ছেলে গোপালের বৌ সুমতি । বিবাহের এক মাসের মধ্যে বুড়ে গুরুদেব নিজে তার কানে মন্ত্র দিলেন, তাদের আশীৰ্বাদ করিয়া গেলেন, ধর্মে মতি হোক। অতবড় সাধকের আশীৰ্বাদ কি ব্যর্থ যায়! একমাসের মধ্যে স্বামী তার সন্ন্যাসী হইয়া গেল। তাকে শুধু বলিয়া গেল, সংসারে তার মন নাই, বিবাহ করিয়া সে মস্ত ভুল করিয়াছে। আরও একটি কথা সে বলিয়াছিল, “তুমিও যাবে সুমতি ?” সুমতি বলিয়াছিল, “তুমি পাগল হয়েছ ?” তারপর দশবছর কাটিয়া গিয়াছে গোপালের কোন সংবাদ পাওয়া যায় নাই। চার মাসে ভাল করিয়া যার সঙ্গে পরিচয় পর্যন্ত হয় নাই, তার জন্য মনোবেদন সুমতি বিশেষ কিছু বোধ করে নাই। পরে ধীরে ধীরে জীবনের অসংখ্য ব্যর্থতার মধ্যে আবিষ্কার করিয়াছে স্বামীর NOA