পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু আবিষ্কার করিল। সাধুৱ পায়ের ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলটি তেরচা व् । তবু, গোপাল না হওয়া সত্ত্বেও, এই গেকয়া পরা মানুষটি মাঝখানের দশ এগার বছরের ব্যবধান লুপ্ত করিয়া দিয়া যেন তার কয়েক মাসের স্বামী-সোহাগের দিনগুলির জের টানিতে আসিয়াছে। সুমতির হৃদয় ধড়াস ধড়াসা করে। ঘোমটা দিয়া তার কনে বেী সাজিতে ইচ্ছা হয়। দশ এগার বছরের স্বামী-পরিত্যক্ত স্ত্রীলোকের পক্ষে হাস্যকর হইলেও বিশেষভাবে সাজসজ্জা করে নাই কেন ভাবিয়া বড় আপশোষ জাগে । গোপালের মা তখন কাতর কণ্ঠে কৃষ্ণপাদানন্দের কাছে আপশোষ করিতেছেন : “ও বড় হতভাগিনী বাবা। ওকে বীে করে আনলুম, কদিন পরে ছেলে আমার সন্নেসী হয়ে গেল। শুধু দুটি কথা লিখে রেখে গেল, বৌকে যেন আদর যত্নে রাখি, বৌ-এর দোষ নেই। তা আদর যত্নে বেীকে রেখেছি বাবা, ওর দিকে তাকাতে ভয় করে, তুমিই চেয়ে দ্ব্যাখে । কিন্তু বৌমার দোষ ছিল না। তাতো ভাবতে পারি না। বাবা! এমন সুন্দরী দেখে বৌ আনলাম তোকে, ছেলেটাকে আমার তুই যদি ঘরে আটকে না রাখতে পারলি-” নগেন গভীর অভিমানের সুরে বলিলেন, “চুপ কর। সব শ্ৰীশ্ৰীঠাকুরের ইচ্ছে!” কৃষ্ণপদানন্দ মৃদু হাসিয়া বলিলেন, “শ্ৰীশ্ৰীঠাকুর ওঁর কথা বলে দিয়েছেন। র্তার কিছু অজানা নেই। বলেছেন, কৃষ্ণপদানন্দ ! নগেনের ঘরে একটি মেয়ে শ্ৰীরাধিকার সাধনা করছেন, এ জগতে অতবড় সাধিক আর নেই। শ্ৰীকৃষ্ণ অথবা স্বামী কার জন্য এ সাধনা, ঠিক বুঝতে পারছে না মেয়েটি। তুমি ওকে বলে বুঝিয়ে দিয়ে Q\SS