পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ এসো।” কাল ছোট বৌমাকে মন্ত্র দেব। তারপর ওকে সাধনার পথ দেখিয়ে দেব ।” গভীর রাত্ৰে সুমতি কৃষ্ণপাদানন্দের শয্যায় আসিয়া বসিল । শ্ৰীশ্ৰীঠাকুরের অর্ধেক ফুলে ঢাকা প্ৰকাণ্ড একটি ছবি বেদীর উপর রাখা হইয়াছে। এই ঘরে পূজাৰ্চনা হয়, মাঝে মাঝে কীৰ্তনাদির বড় অনুষ্ঠানও হয়। মেঝেতে কার্পেট ও কম্বলের শয্যায় শ্ৰীশ্ৰীঠাকুরের প্রধান শিস্যকে শুইতে দেওয়া হইয়াছে, এঘরে আর কারও শয়নের অধিকার নেই। সুমতি আরেক বার তার বুড়ো আঙ্গুলটি পরীক্ষা করিতে যাওয়ায় কৃষ্ণপদানন্দ উঠিয়া বসিল । “তুমি আমায় চিনতে পেরেছ সুমতি ?” ‘পায়ের তেরাচা আঙ্গুল কি হ’ল ?” “সর্বদা খড়ম পরায় সোজা হয়ে গেছে।’ “মুখ চোখ বদলে গেছে কেন ?” “দশ বছর সাধনা করছি। সে কি সাধনা তুমি জান না। মানুষের চেহারা আগাগোড়া বদলে যায়। সুমতি তার পায়ে মুখ গুজিয়া বলিল, “তুমি মিছে কথা বলছি।” “মিছে কথা আমি বলিনি সুমতি ।” শ্ৰীশ্ৰীঠাকুরের ছবির বেদীতে বড় বড় প্ৰদীপের একটি নিভিয়া গিয়াছে, একটি দপদপা করিয়া জ্বলিতেছে। স্থির আলোয় একসঙ্গে বেশীক্ষণ কেউ কারো মুখ দেখিতে পাইতেছে না। কৃষ্ণপদানন্দ আবার বলিল, “প্ৰথমে একটি মিছে কথা বলেছিলাম। দীক্ষা নেওয়ার সময় বলেছিলাম। আমি ব্ৰহ্মচারী, জীবনে স্ত্রীলোক স্পর্শ করিনি। আজও S80