পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जांबू এই মিথ্যা আমার সমস্ত সাধনাকে নষ্ট করে দিচ্ছে সুমতি । তাই তোমাকে নিতে এসেছি।” “আমি যদি তোমার স্ত্রী, সকলকে জানিয়ে আমায় নিয়ে যাচ্ছে না। কেন ? একটা কলঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছ কেন তোমার নিজের নামে আর আমার নামে ?” কৃষ্ণপদানন্দ প্ৰদীপের বুকে জ্বল সলতেটি নিভাইয়া দিল। অতি মৃদু কণ্ঠে বলিল, “আমার সন্ন্যাস জীবনের আগেকার কোন জীবন নেই। আমার কোন কলঙ্ক নেই। তোমাকেও সংসারে কি হবে লোকে কি বলবে, এসব ভুলে গিয়ে আমার সঙ্গে যেতে হবে সুমতি ।” এবার একটু আগাইয়া সুমতি তার বুকে মাথা রাখিল। স্বামীর কাছে আশ্রয় খোজার মত দুহাতে তার গলা জড়াইয়া ধরিয়া বলিল, “তোমার সঙ্গে যাব। কিন্তু তুমি আমার স্বামী নাও।” “আমি তোমার স্বামী সুমতি । মোটে দশটা বছর কেটে গেছে, নিজের স্বামীকে তুমি চিনতে পারছি না ?” “মা বাবা কেন পারলেন না ? আমি দু’দিন তোমায় দেখছি, মা তো জন্ম থেকে তোমায় মানুষ করেছেন ? আমি এতক্ষণে সব বুঝতে পেরেছি।” “কি বুঝতে পেরেছ ?” সুমতি কৃষ্ণপাদানন্দের এক মাথা চুল মুঠি করিয়া ধরিয়াছে, এত আস্তে সে কথা বলিতেছে যে এত কাছে থাকিয়াও কৃষ্ণপাদানন্দের শুনিতে কষ্ট হইতেছে। “পূজোর সময় আমরা যখন আশ্রমে গিয়েছিলাম, তুমি সর্বদা আমায় চেয়ে চেয়ে দেখতে । অত শিষ্যের মধ্যে আমাদের থাকবার ভাল ব্যবস্থা করে দিয়েছিলে । আজ তুমি আমায় নিতে এসেছে। S8)