পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ ভুগিতে ভুগিতে শয্যা গ্ৰহণ করিলেন। বড়ামামার মেজ মেয়ে সন্তান প্রসব করিতে বাপের বাড়ী আসিয়া একখানা চিঠির আঘাতে একেবারে বিধবা হইয়া গেল। পানা ভরা পুকুরটার অপর দিকের বাড়ীতেও একটি মেয়ে আরও আগে সন্তানের জন্ম দিতে বাপের বাড়ী আসিয়াছিল, একদিন রাতভোর চেচাইয়া সে মরিয়া গেল নিজেই। আমবাগানের ওপাশে আটদশখানা বাড়ী লইয়া যে পাড়া, সেখানেও পনের দিন আগে-পিছে দু’টি বাড়ী হইতে বিনাইয়া বিনাইয়া শোকের BDB D DBL YLD LSDBYS তারপর একদিন অনাদি নামে সদর হাসপাতালের এক কমপাউণ্ডারের সঙ্গে নীলার বিবাহ হইয়া গেল। সমস্ত অবস্থা বিবেচনা করিয়া সকলেই একরকম স্বীকার করিল যে, ধরিতে গেলে নীলার বিবাহটা মোটামুটি ভালই হইয়াছে বলা যায়। মেয়ের তুলনায় ছেলের চেহারাটাই কেবল একটু যা বেমানান হইয়াছে। কচি ডাল ভাঙ্গিয়া ফেলিলে শুকাইয়া যেমন হয়, কতকটা সেইরকম শুষ্ক ও শীর্ণ চেহারা অনাদির, ব্ৰণের দাগ-ভরা মুখের চামড়া কেমন মর্যা-মরা, চোখ দুটা নিম্প্রভ, দাতগুলি খারাপ। এদিকে মামারবাড়ীর অনাদর অবহেলা সহিয়া এবং বাবা ও ছোটভাইটির জন্য কঁাদিয়াও নীলার চেহারাটি বেশ একটু জমকালো ছিল, একটু অতিরিক্ত পারিপাট্য ছিল তার নিটোল অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গগুলির গঠন-বিন্যাসে । কিছু বলিবার নাই, কিছু করিবার নাই, মুখ বুজিয়া সব মানিয়া লইতে হইল নীলার। বিশেষ আর এমন কি পরিবর্তন হইয়াছে জীবনের ? বাস কেবল করিতে হয় অজানা লোকের মধ্যে, যাদের কথাবাৰ্ত্তা চালচলন নীলা ভাল বুঝিতে পারে না ; আর রাত্ৰে শুইয়া থাকিতে