পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি খোয়া ভিতর হইতে চাপা গলায় ডাক আসিল, “চলে আয়, চট করে চলে আয় ভেতরে। ওখানে দাড়াস না । কেউ দেখবে।” ভিতরে ঢোকা মাত্ৰ জহর দরজা বন্ধ করিয়া দিল । অনুযোগের সুরে বলিল, “বাড়ীর সামনে অতিক্ষণ রাস্তায় দাড়িয়েছিলি কেন ? তোর কাণ্ডজ্ঞান নেই মিহির ।” নির্বাক মিহিরের দু'চোখের বিস্মিত প্ৰশ্নকে উপেক্ষা করিয়া জহর তাকে ভিতরে নিয়া গেল । সদরের দরজায় যে খাপছাড়া অভ্যর্থনা আরম্ভ করিয়াছিল বাড়ীর ভিতরে জহর তার জের টানিলে মিহির হয়তো আপনা হইতেই তার প্রশ্নের জবাব পাইয়া যাইত। উঠানে পা দিয়াই সে যেন অন্য মানুষ হইয়া গেল। “তুই আসবি ভাবিনি। অনেক দিন পরে দেখা হল।” “বছর চারেক হবে বৈকি ৷” তিন বছর জহর জেলে ছিল। এক বছর বাড়ীতে আছে । এষ্ট হিসাবে চার বছর। মাঝখানে সরকারী কাজে মিহির একবার জহরের জেলে গিয়া জহরকে দেখিয়াছিল বছর দুই আগে । জহর ও হয়তো তাকে দেখিতে পাইয়াছিল, চাকরীর পোষাকে চিনিতে পারে। নাই। সে কি চাকরী করে হয়তো আজও এ বাড়ীর কেউ জানে না। এতক্ষণ পরে হঠাৎ মিহির অস্বস্তি বোধ করিতে থাকে। জহরের বন্ধু হিসাবে গ্ৰহণ করিয়া তার নূতন ছাপমারা পরিচয় জানিবার পর বাড়ীর সকলের অস্বস্তি-বোধ যেন কল্পনায় এখন হইতে তার নিজের মধ্যে সঞ্চারিত হইতে আরম্ভ করে। ‘नों (agन *ातवांभ कi छश् ।'

  • डों (अनेि।” জহরের বাবা কঁথা মুড়িয়া দিয়া শুইয়াছিলেন, জ্বর আসিয়াছে।

S8ዓ