পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ উন্মত্ত প্ৰতিহিংসার ভয়। আগের বা পরের নয়, ঠিক খুনের সময়ের দৃষ্টি যেন মনোহরের চােখে আসিয়াছে। এ দৃষ্টির আর কোন মানে হয় না। জহরের চােখে শুধু বিফলতা, দুর্বোধ্য আঘাতের অর্থ বুঝিবার ব্যাকুলত যেন ভিতর হইতে তার চোখে চাপ দিতেছে। টোক গিলিতে গিয়া মিহিরের মনে হইল কণ্ঠনালীর মাঝখানে শক্ত ঢ়িলের মত কি যেন একটা আটকাইয়া গিয়াছে। রায়বাহাদুবের মেয়ের বিবাহে নিমন্ত্রণ রাখিতে যাওয়ার জন্য পাশের ঘরে মেয়েরা সাজ করিতেছে। স্বাভাবিক কলরব ছাপাইয়া জোর গলায় চেঁচামেচি কাণে আসিতেছিল। হঠাৎ সেটা বন্ধ হইয়া গেল। আধফর্স ময়লা কাপড় পরা যোল সতের বছরের একটি রোগা মেয়ের হাত ধরিয়া টানিয়া আনিয়া মা। এ ঘরে দাড় করাইয়া দিলেন। পিছু পিছু আসিল একটি বেী এবং পাঁচটি ছেলেমেয়ে । পরণে পুরানো ছিটের ফ্রক ও জামা । মা বলিলেন, “শান্তি যাবে না বলছে। যেতে ভাল লাগছে না। মেয়ের, ইচ্ছে করছে না । দাদাকে যেতে বারণ করে গেছে, মেয়ের তাই অপমান হয়েছে, তিনি তাদের বাড়ী থুতু ফেলতেও যাবেন না।” বিছানা হইতে বাবা বলিলেন, “যাবে না কি, ওর ঘাড় যাবে। শিগগীর কাপড় পরে নে গিয়ে শান্তি ।” শান্তি বলিল, “আমি যাব না।” মা আৰ্তনাদ করিয়া উঠিলেন, “দিদি যখন সুধোবে শান্তি কই, আমি কি জবাব দেব লো হারামজাদি ? মরে গেছিস, হাড় জুড়িয়েছে, তাও যে বলতে পারব না, পুকুর ঘাটে ওবেলা তোকে দেখেছে fGC 373 C5Ce !” AGło