পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ কঁদিতে পারিত, কিন্তু ধমক খাওয়া মাত্র নীলার কান্না একেবারে থামিয়া গেল । “দাত ব্যথা করছে তোমার ?” অনাদি বলিল, “না।” “মাগার যন্ত্রণ হচ্ছে ?”

“তবে ?’-নীলা যেন অবাক হইয়া গিয়াছে। দাতও ব্যথা করিতেছে না, মাথারও যন্ত্রণা নাই, কঁাদিবার জন্য। তবে তাকে ধমক দেওয়া কেন, বারানদায় গিয়া কঁাদিতে বলা কেন ? দাতের ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা না থাকিলে তো তার প্রায় নিঃশব্দ কান্নায় অনাদির অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । তারপর ধমক দিয়া কয়েকবার নীলার কান্না বন্ধ করা গেল বটে, কিন্তু কিছুদিন পরে ধমকেও আর কাজ দিল না। মাঝে মাঝে তুচ্ছ উপলক্ষে, মাঝে মাঝে কোন উপলক্ষ ছাড়াই নীলা কঁাদিতে লাগিল । মনে হইল, তার একটা উদ্ভট ও দুনিবার পিপাসা আছে, নিজের নাকের জল চোখের জলের স্রোত অনেকক্ষণ ধরিয়া অবিরাম পান না। করিলে তার পিপাসা মেটে না । তারপর ক্ৰমে ক্রমে অনাদি টের পাইতে থাকে, বৌ-এর তার কান্নার কোন কারণ নাই, বৌটাই তার ছিচকেঁাদুনে, কঁাদাই তার স্বাভাবি ৷ অনাদির মা-ও কথাটায় সায় দিয়া বলেন, ‘এদিন বলিনি তোকে, কি জানি হয়তো ভেবে বসবি আমরা যন্তনা দিয়ে বেীকে কঁাদাই, তোর কাছে বানিয়ে বানিয়ে মিছে কথা বলছি-বডড ছিচকাদুনে বে। তোর। একটু কিছু হ’ল তো কেঁদে ভাসিয়ে দিলে। আগে ভাবতাম, Σ Σ