পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভিক্ষুক নয়, নিজের কাল্পনিক কাহিনীতে নিজেই অভিভূত হইয়া তার মনে হইতে থাকে, উঃ, কি কষ্টই সে পাইয়াছে জীবনে ? পথের শেষের দিকে সঙ্গী লোকটি একটু বেশী রকম চুপচাপ হইয়। যায়, কি যেন ভাবিতে থাকে । যাদবের শ্বশুরবাড়ীর গ্রামের গা ঘেষিয়া পথটি সোদপুরের দিকে চলিয়া গিয়াছে, সেইখানে ছাড়াছাড়ি । বিদায় নিয়া যাদব গ্রামের দিকে পা বাড়াইয়াছে, লোকটি ডাকিয়া বলে, “একটু দাড়ান তো !” কাছে আসিয়া যাদবের হাতে একটা কাগজ গুজিয়া দিয়া সে বলে, “আপনার ছেলের চিকিৎসা করবেন।”--বলিয়াই হন হন করিয়া আগাইয়া যায়। তারার আলোতেও যাদব বুঝিতে পারে, কাগজটা একটা দশ টাকার নোট । প্ৰথমে যেমন বিস্ময় জাগিয়াছিল, তেমনি হইয়াছিল আনন্দ । সকলকে সহরে নেওয়ার খরচটা ভগবান জুটাইয়া দিলেন। ঘরের পয়সা আর খরচ করিতে হইবে না। কথাটা যাদবের মনে নানা ভাবে পাক খাইয়া বেড়াইতে থাকে। সে তো কোন সাহায্য চায় নাই, তবু ভদ্রলোক যাচিয়া তাকে একেবারে দশ দশটা টাকা দান করিয়া ফেলিলেন কেন ? বিশেষ বড়লোক বলিয়াও তো মনে হয় নাই মানুষটাকে ? তার বানানো দুঃখের কাহিনী শুনিয়া এমন ভাবে মন গালিয়া গেল লে একেবারে দশটা টাকা তাকে না দিয়া সে থাকিতে পারিল না ? সকলকে নিয়া যাদব সহরে ফিরিয়া যায়। আগেই যে খোলার ঘরটি ভাড়া করিয়া রাখিয়াছিল। সেখানে গিয়া ওঠে, নিয়মিত কাজ করিতে যায় । কাজ করিতে করিতে তার মনে হয়, টাকা রোজগার করা কি Sas