পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভিক্ষুক এই কি মানুষ, এই কি ভদ্রলোক ? আবার সিল্কের পাঞ্জাবী গায়ে দেওয়া झुछ्रेझाgछ । কদিন আর সহজ উপায়ে রোজগারের চেষ্টা করিয়া দেখিবার উৎসাহ যাদবের জাগে না, মুখ ভার করিয়া কাজ করে এবং খোলার বাড়ীতে ফিরিয়া গিয়া বেীকে গালাগালি দেয়। আর ছেলেমেয়োগুলিকে ধরিয়া ধরিয়া পিটায় । এদের আনিয়া পর্যাচ বাড়িয়া গিয়াছে, মারাত্মক রকমের খরচ বাড়িয়া গিয়াছে। বেতনের টাকায় আর কুলায় না, জমা টাকা হইতে কিছু কিছু খরচ করিতে হয় । কি উপায় হইবে ভাবিতে গিয়া যাদবের মাথা গরম হইয়া উঠে । মাথা ঠাণ্ড করার জন্য বন্ধুর সঙ্গে একটা খোলার ঘরে একটু ফুক্তি করিতে গিয়া সারারাত আর বাড়ীই ফেরো না । সকালে আর সময় থাকে না বাড়ী যাওয়ার, রাস্তার কালে মুখ-হাত ধুইয়া কোন দোকানে কিছু খাইয়। কাজে চলিয়া যাইবে ঠিক করিয়া যাদব খোলার ঘর হইতে বাহির হইয়া আসে। বস্তির সীমানা পার হইয়া বড় রাস্তায় কিছুদূর আগাইয়া একটা জলের কালের সামনে দাড়াইয়াছে, নজরে পড়িল কাছেই-দাড়া-করানো মোটরে যে লোকটি বসিয়াছিল তার শান্ত কোমাল দয়া মাখানে মুখখানা। পকেটে যাদবের পয়সা ছিল মোটে পাঁচটা । এতক্ষণ খেয়াল হয় নাই, এবার তার হঠাৎ মনে পড়িয়া যায়, এক পয়সার বিড়ি কিনিলে বাকী থাকিবে। মোটে চারিটি পয়সা, চার পয়সায় কি সে পাইবে আর কি খাইয়া সারাদিন খাটিবে ? মোটরের কাছে গিয়া সে বলে, “আপনাকে একটা কথা বলতে চাই।” আরোহী বড়ই বিব্রত হইয়া পড়ে ৷-“কি কথা ?” SS